বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছর মে মাসে ১৫৭ কোটি ৪২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব সামগ্রী জব্দ করা হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জব্দকৃত চোরাচালানের রয়েছে- ৬৬০ গ্রাম স্বর্ণ, ৩ কেজি ৩৭০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ২২ হাজার ৭৮৩টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ২ হাজার ৬৭৫টি ইমিটেশন গহনা, ১৪ হাজার ৯৮৯টি শাড়ী, ১০ হাজার ৫৭৩টি থ্রিপিস ও তৈরি পোশাক, ১ হাজার ৩২১ ঘনফুট কাঠ, ১ হাজার ৫৪৬ কেজি চা পাতা, ২৬ হাজার ৯২০ কেজি কয়লা, ৩০০ ঘনফুট পাথর, ২ কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১৮টি ট্রাক, ৩টি পিকআপ, ২টি মাইক্রোবাস, ১টি বাস, ১টি ট্রাক্টর, ২৬টি নৌকা, ৩৩টি সিএনজি ও ইজিবাইক, ৮৯টি মোটরসাইকেল এবং ৩৪টি বাইসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি পিস্তল, ১১টি সকল প্রকার গান, ১টি ম্যাগাজিন, ৩ কেজি ৯৮০ গ্রাম গান পাউডার এবং ৬,৯১০ রাউন্ড গুলি।
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪২২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩৬ কেজি ৩৫২ গ্রাম হেরোইন, ১০ হাজার ৭৬০ বোতল ফেনসিডিল, ২২ হাজার ৬২১ বোতল বিদেশী মদ, ২৯৯ লিটার বাংলা মদ, ৫৯৩ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৫০৩ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৮০৮টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ২ হাজার ৯১১ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮ কেজি ৫৮০ গ্রাম কোকেন, ১ কেজি আফিম, ৮২০ বোতল এমকেডিল, ২৫ লাখ ৮৩ হাজার ৬৬১ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, ১ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮০টি সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১১ বোতল এলএসডি এবং ১১ হাজার ৯৯৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
এছাড়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭৬ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৭৩ জন বাংলাদেশী নাগরিক, ৮ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৬৪২ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।