মারধরের শিকার হয়ে মামলা করার পর আসামীদের নানা হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাহমিনা আক্তার আশা নামের এক গৃহিনীর পরিবার। শুধু তাই নয় ওই পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়েছে। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডা এলাকায়। এ ঘটনায় দুই নম্বর আসামি নাজমুল হক চৌধুরী রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত আসামি পক্ষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়। অপর আসামি রাশেদুল হক চৌধুরীর সাজু পলাতক আছে।
পুলিশ জানায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে আশার স্বামী ব্যক্তিগত কারণে নারায়ণগঞ্জের রাশেদুল হক চৌধুরী সাজু ও নাজমুল হক চৌধুরী রাজুর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নেন। পর্যায়ক্রমে এ ঋণের টাকা লভ্যাংশসহ ২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যায় পড়ে ১ লাখ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গত ২৮ মার্চ রাশেদুল হক চৌধুরী সাজু ও নাজমুল হক চৌধুরী রাজু আশার কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক না দিতে পারায় তারা গৃহিনী আশার উপর হামলা চালায় এবং তাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে।
আশা অভিযোগ করেন, একপর্যায়ে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে অপহরণের চেষ্টা চালায় তারা। এসময় আশার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। পরবর্তিতে তিনি পাওনা ১ লাখ টাকা পরিশোধ করে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, আশা আরো অভিযোগ করেন, আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে এ মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন সময় আশা ও তার স্বামীকে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে বাদী ও তার মেয়েকে নিয়ে বাসার বাইরে বের হলে তাদের লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন আসামীরা। আসামিপক্ষ প্রভাবশালী ও দুই নম্বর আসামি রাজুর স্ত্রী মারিয়া রহমান ও তার ভাই তামিমের নিকটতম আত্মীয় ঢাকার একজন সংসদ সদস্য। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একজন জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে বাদীপক্ষ ও মামলার সাক্ষীদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে বলে আশা অভিযোগ করেন।