নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পিলখানা হত্যাকান্ডের ১৫তম বার্ষিকী পালন করেছে সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি। রবিবার বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সদর দফতরসহ বিজিবির সারাদেশের রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে অতিরিক্তি সচিব মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে নিহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়াও রবিবার দেশের সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সর্বস্তরের সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
বিজিবি ঃ
পিলখানা হত্যাকান্ডের দিনে রবিবার ফজরের নামাজের পর থেকে জোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত নিহতদের রুহের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদসমূহে খতমে কোরআন আয়োজন করা হয়। দিবসটি উদযাপনে বিজিবির সব স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করে। বাদ আসর পিলখানায় বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের সব মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা, নিহত ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়রা, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।