সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রæপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানাধীন ১৭ প্রতিষ্ঠানের ঋণসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র তলব করে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদক থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
দুদক যেসব দপ্তরে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়ে নথিপত্র তলব করেছে, তার মধ্যে রয়েছে ৬৩টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, রাজউক, গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ, রেজিস্ট্রার অফিস ও ঢাকা-গাজীপুর সিটি করপোরেশন।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক, শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান, তার ছেলে সৈয়দা রুবাবা রহমান ও আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত নথিপত্র এবং বেক্সিমকো ও এর সহযোগী ১৭ প্রতিষ্ঠান অ্যাডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেড, অটাম লুপ অ্যাপারেলস লিমিটেড, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড, কসমোপলিটান অ্যাপারেলস লিমিটেড, কোজি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এসেস ফ্যাশন লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, কাঁচপুর অ্যাপারেলস লিমিটেড, মিডওয়েস্ট গার্মেন্টেস লিমিটেড, পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড, পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস লিমিটেড, প্ল্যাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড, স্কাইলেট অ্যাপারেলস লিমিটেড, স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবান ফ্যানশন লিমিটেড ও উইন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের নিজ ও যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র, ডিপিএস, ঋণ ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি নথিপত্র চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠঅনের ব্যাংক হিসাব খোলার ফর্ম, কেওয়াইসি ফর্ম, টিপি এবং হিসাব খোলার পর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব বিবরণী, ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে তলবি চিঠিতে।
সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, শেয়ার কারসাজি করে গ্রাহকদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট ও অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণের লোপাট করে বিদেশে পাচার করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট সালমান এফ রহমানের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এর আগে গত ১৪ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।