সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ বলবৎ থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। সড়ক নিরাপত্তায় সরকারের পৃথক আইন প্রণয়নে একটি কমিটি গঠিত হলেও তা এখন স্থবির অবস্থায় আছে। সরকারের উচিত এখন এই কমিটিকে সক্রিয় করে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে সচেষ্ট হওয়া এবং দ্রæত সময়ের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা। তাহলেই এবছরের তরুণদের যে অঙ্গীকার তা বাস্তবায়িত হবে। তাই সড়ক নিরাপত্তায় সংস্কার ভাবনা এখন সময়ের দাবি। সামগ্রিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করার আহবান জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার রাজধানীর শ্যামলীস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে এক সভায় এ আহŸান জানানো হয়। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, সিনাপদ সড়ক হোক সবার’। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন হাসপাতাল (নিটোর) এর ইউনিট চিফ প্রফেসর ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার জামিউল আহসান সিপু, দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেব ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের রোড সেইফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতিসংঘের গেøাবাল প্ল্যানের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতিরোধযোগ্য রোডক্র্যাশ, মৃত্যু ও আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। এর জন্য দরকার উপযুক্ত শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো।
প্রতি বছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালে প্রতি লাখে রোডক্র্যাশে মৃত্যু ছিল ১৫.৩ এবং ২০২১ সালে এই মৃত্যু বেড়ে হয় প্রতি লাখে ১৮.৬ জনের মতো। অন্যদিকে, বিআরটিএ’র হিসাবমতে প্রতিবছর দেশে গড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষ মারা যায় ও ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন বিভিন্ন মাত্রায় আহত হয় এবং পঙ্গুত্ব বরণ করে।