সহজ রুটে রংপুর এক্সপ্রেস চালানো ও রংপুরে একটি ওয়াশপিট স্থাপনের দাবিতে গতকাল রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে রংপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার রেলভবনে রেল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদত আলীর কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়। রেলের ডিজি স্মারকলিপিটি গ্রহণ করে তিনি রেল উপদেষ্টার কাছে পাঠিয়ে দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১১ সালে ঢাকার সঙ্গে রংপুরের রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য চালু হয় আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস রংপুর এক্সপ্রেস। ওই সময় বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার যাত্রীদের রাত্রিকালীন ঢাকামুখী ট্রেন সার্ভিস ছিল না বলে রংপুর এক্সপ্রেসকে ৪১ কিলোমিটার পথ ঘুরিয়ে বগুড়া ও গাইবান্ধা দিয়ে রুট নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রতিদিন রংপুর এক্সপ্রেসকে ৮২ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ চলতে হয়। অন্যদিকে অতিরিক্ত পথ চলার কারণে ট্রেনটি ঢাকা থেকে রংপুর পৌঁছাতে ১১ ঘন্টা লেগে যায়। এতে করে রংপুরের যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়। চলতি বছর গাইবান্ধা ও বগুড়ার যাত্রীদের জন্য একই সময় রাত্রিকালীন বুড়ীমারী এক্সপ্রেস চালু হলে ওই রুটে রংপুর এক্সপ্রেসের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। তাই রংপুর এক্সপ্রেসকে সহজরুট ঢাকা-পার্বতীপুর-রংপুর রুট দিয়ে চালালে প্রতিদিন ৮২ কিলোমিটার পথ চলতে ৬শ লিটার ডিজেলের সাশ্রয় হবে।
এছাড়া রংপুরে একটি ওয়াশপিট স্থাপন করে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য মেইল ট্রেনের বেজ স্টেশন করতে পারলে ঢাকার ওয়াশপিটের ওপর চাপ কমে যাবে। রংপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনের সমান্তরালে নতুন ডুয়েলগেজ লাইন দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে। কাউনিয়া বাইপাস এবং পার্বতীপুর বাইপাস। (এমন ভাবে নির্মাণ করতে হবে যেন রংপুর পার্বতীপুর সান্তাাহার এবং রংপুর গাইবান্ধা সান্তাহার একই দূরত্ব হয় (৫৩ সময়সূচি অনুযায়ী ৩৫ কি.মি. পার্থক্য)। অতিরিক্ত ৩৫ কিঃমিঃ দূরত্ব , কাউনিয়ায় বিরক্তিকর লোকো রিভার্স, দুই রুটে সময়ের পার্থক্য ১:৩০ ঘন্টা এবং ঘনঘন স্টপেজ এর জন্য রংপুরবাসী পার্বতীপুর হয়ে যেতে চায়। কাজেই রংপুর-গাইবান্ধা-সান্তাহার এবং রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে ট্রেন সংখ্যা ব্যালেন্স করতে ৩৫ কি.মি. পার্থক্য ০ তে নামিয়ে আনা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রংপুর থেকে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় এবং সৈয়দপুর-নীলফামারী-চিলাহাটি সড়ক পথ ও রেলপথ দূরত্ব সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকায় পার্বতীপুর স্টেশনের সন্নিকটে একটি বাইপাস করা প্রয়োজন। যমুনা রেলসেতু উদ্বোধনের দিন থেকে ঢাকা-পার্বতীপুর-রংপুর রুটে প্রস্তাবিত কাশবন এক্সপ্রেস চালু করতে হবে।
রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে বিভাগীয় শহর রংপুরের জন্য টিকিট বরাদ্দের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অবিলম্বে রংপুর এক্সপ্রেসে ১৫০টি শোভন চেয়ার, ৫৫টি স্নিগ্ধা, ১২টি কেবিন বরাদ্দ দিতে হবে এছাড়া সিবিআই সিগন্যাল সিস্টেম প্রবর্তনের দাবি করা হয় স্মারকলিপিতে।