মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে আটক বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে
ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার ( ১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মিয়ানমার
আরাকান আর্মি নাফ নদী দিয়ে জেলেদেরকে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি’র) কাছে
হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অধিনায়ক
লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি নাগরিকরা হলেন- কক্সবাজারের রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা গ্রামের মৃত
হোসেন আহমেদের ছেলে মো. ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উলাহর ছেলে
আব্দুল হাফেজ (২৮), মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫), মৃত অলি আহমদের
ছেলে আবু হেনা (৪০), মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে আলী (৪০), মোস্তাকের ছেলে আরাফাত (৩০),
তোফাজ্জলের ছেলে মো. হেলাল (২৮), মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমান উলাহ (৫০), মো.
ওয়ারেজের ছেলে নবী হোসেন (২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে মো. সলিমুলাহ (৪৫), মৃত
আমির হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস (৫২), মোহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (২২), আলী আকবরের
ছেলে মো. সেলিম (২৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৭) এবং মৃত মুকবুল হোসেনের
ছেলে রহিম উলাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)।
টেকনাফ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে
কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট হতে ১৬ জেলে একটি ট্রলারযোগে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ
ধরতে যায়। পরে ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ৩টি ট্রলারে করে অজ্ঞাত ডাকাতদল উক্ত জেলেদের ওপর
আক্রমণ করে মারধর করে তাদেরকে ট্রলারের ডেকের ভেতরে বন্দী করে রেখে দেয়। আবার ৭
অক্টোবর আনুমানিক ভোর ৪ টার দিকে ডাকাতদল জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশে
একটি চরে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে জেলেরা মিয়ানমারের বেসামরিক জনগণের মাধ্যমে আরাকান
আর্মির সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের নিকট স্বেচ্ছায় আÍসমর্পণ করে। উক্ত জেলেরা প্রায় ৬
দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩ অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি বিজিবিকে
অবগত করে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মিয়ানমার আরাকান আর্মির সাথে
যোগাযোগের মাধ্যমে সোমবার সন্ধ্যায় নাফ নদী দিয়ে ১৬ জন জেলেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা
হয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ফিরিয়ে আনা ১৬ জন জেলেকে তাদের নিকটতম আÍীয়-স্বজনের
সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।