‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের পা ওপরের দিকে ঝুলিয়ে রেখে সোজা করবে বিজেপি সরকার’- ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,তার বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে ভদ্রতা শিষ্টাচার পরিপন্থী। বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বিশ্বে যে ভ‚কম্পন তৈরি হয়েছে, শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। সেটাতে ভারত মনঃক্ষুন্ন,বেদনার্ত।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন,শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেলেও তাদের অবশিষ্টাংশ দেশে আছেন। যারা এখনো জনগণের মাঝে চুপচাপ ঘাপটি মেরে আছে। কিন্তু আসলে তারা দেশকে অস্থিতিশীল এবং বাংলাদেশের সাম্য মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন,বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মুসলমান জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে ঐতিহ্যের ধারায় সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি অটুটু রেখেছেন। একইভাবে সামনের দুর্গাপূজায় সেই সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। যদিও আওয়ামী লীগ নাশকতার পরিকল্পনা করে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে খুলনার বিভিন্ন মন্দিরে খোলা চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বড় ধরনের চক্রান্ত চলছে, এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু জনগণ এ বিষয়ে অত্যন্ত সর্তক-সচেতন আছে।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় আওয়ামী লীগের লোকজন নাশকতা করতে পারে। এসব ন্যাক্কারজনক কাজ করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে। এ কারণে সামনের পূজায় নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলগুলো নিরাপত্তা ও স¤প্রীতি বজায় রাখতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে আসবেন আশাপ্রকাশ করে রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে এবং নৈপথ্যে ছিলেন তারেক রহমান। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়ার পেছনে ছিলেন অনড়। তার অনড় অবস্থানের কারণেই শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। যা ছিল যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। তার হাত ধরেই ছাত্র-জনতার এই চূড়ান্ত আন্দোলন।