বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল (১২) গতকাল রাজধানীর নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রাতুল বগুড়া শহরের ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকানি মো. জিয়াউর রহমানের ছেলে। সে বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রাতুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবর শুনে বিকালে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতুল। বিকাল ৪টার পর আনন্দ মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যায় এ সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলি এসে রাতুলের মাথায় লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রæত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। প্রায় ১ মাস ২০ দিন চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় রাতুল।
তিনি আরও জানান, দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। সেখানে জানাযা শেষে লাশ বগুড়ায় নেয়া হয়। নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।