রাজধানীর পল্লবীর সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মাসকো গ্রæপের এজিএম সাইদুল ইসলাম সোহাগ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সাংবাদিক আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে প্রিয়াঙ্কা নামে ওই তরুণী বুধবার রাতে অসুস্থ অবস্থায় শহীদ সোহারাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায় কথিত স্বামী সোহাগ। রাতেই চিকিৎসকরা প্রিয়াঙ্কাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রিয়াঙ্কার মা দিলারা খাতুন অভিযোগ করেছেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টিকে সোহাগ আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটা) থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে মাসকো গ্রæপে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে পরিচয় হয় ওই প্রতিষ্ঠানটির এজিএম সোহাগের সঙ্গে। বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে পল্লবীর সাংবাদিক আবাসিক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ফ্ল্যাট ভাড়া নেন সোহাগ। সেখানেই মাঝে মধ্যে থাকতেন প্রিয়াঙ্কা। বুধবার প্রিয়াঙ্কার পরিবারকে ফোন দিয়ে সোহাগ জানান প্রিয়াঙ্কা অসুস্থ। মেয়ের অসুস্থার কথা শুনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন মা দিলারা খাতুন। এসে দেখেন আদরের সন্তানটি আর পৃথিবীতে নেই।
দিলারা খাতুন অভিযোগ করেন, মেয়ে বিয়ের চাপ দেওয়াতে সোহাগ তাকে হত্যা করেছে।