spot_img

শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন

জেল থেকে একে একে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। এদের প্রায় সবাই কমপক্ষে ২২ বছর ধরে কারাবন্দী ছিলেন। খুন, চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও দখলবাজির অভিযোগে এদের প্রায় সবারই বিরুদ্ধে ৭ টি থেকে ১৫ টি মামলা রয়েছে। সব কটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর একে একে তারা কারাগার থেকে মুক্তি পায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজধানীর পূর্ব রাজা বাজার এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তিনি কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার জামিনের কাগজপত্র এলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার রাতেই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে সুইডেন আসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২২ টি মামলা ছিল। এর মধ্যে তেজগাঁও এলাকায় গালিব হত্যাসহ ৯ টি হত্যা মামলা রয়েছে।
শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে আরও ৫ জন গত এক মাসে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরা হলেন সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে কলাবাগান ইমন, আব্বাস, টিটন, পিচ্চি হেলাল, ফ্রিডম রাসু। গত ১৪ আগষ্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ইমন মুক্তি পান। একই সময়ে ইমনের প্রধান সহযোগী মামুনও জামিনে মুক্তি পান। এর আগে ১২ আগষ্ট একই কারাগার থেকে মুক্তি পান ফ্রিডম রাসু ও পিচ্চি হেলাল । রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাসহ ১৩ টি মামলা রয়েছে। ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসী তালিকা প্রকাশের আগেই পিচ্চি হেলাল মোহাম্মদপুর থেকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ ৮ টি মামলা রয়েছে।
তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকার ২ নম্বরে টিটনের নাম রয়েছে। ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার একটি বাসা থেকে ডিবি ১ টি পিস্তলসহ তাকে গ্রেফতার করে। মামলাগুলোর জামিন হওয়ার পর গত ১২ আগষ্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান টিটন।
১৩ আগষ্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান আব্বাস উদ্দিন ওরফে কিলার আব্বাস। রাজধানীর কাফরুল, কচুক্ষেত ও ইব্রাহিমপুর এলাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ছিলেন আব্বাস। তার বিরুদ্ধে ৬ টি হত্যা মামলাসহ ১০ টি মামলা বিচারাধীন। তবে এই ১০ টি মামলায় একে একে তিনি জামিন পান।
এর আগে তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে অন্যতম বিকাশ কুমার বিশ্বাস ওরফে বিকাশ ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জামিনে মুক্তি পেয়ে লাপাত্তা হন। এরপর থেকে বিকাশ ফেরারী আসামী হয়ে ভারতে আত্মগোপন করেছে।
তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নামের তালিকায় চার নম্বর তালিকাভ‚ক্ত আসামী ছিলেন তানভীরুল ইসলাম জয়। ২০০৪ সালে তিনি পালিয়ে আমেরিকায় আত্মগোপন করেন। বছর চারেক আগে তিনি মালয়েশিয়ায় আত্মগোপন করেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় চলতি বছরে ১৩ এপ্রিল মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ নিয়ে তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় কারাবন্দী রয়েছেন মগবাজারে শীর্ষ সন্ত্রাসী আরমান, মোহাম্মদপুরের কামাল পাশা ও খিলগাঁওয়ের ফ্রিডম সোহেল।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ