বেক্সিমকো গ্রæপের বিরুদ্ধে ৭ টি ব্যাংক থেকে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজার থেকে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শেয়ার জালিয়াতি ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচরের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেক্সিমকো গ্রæপ, ওই গ্রæপের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। গতকাল সিআইডি তাদের হোয়াটসআপে গ্রæপে এই তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডি জানিয়েছে, সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেক্সিমকো গ্রæপ বিগত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারনা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ গ্রহণপূর্বক বিদেশে পাচার করেছে।
বেক্সিমকো গ্রæপ জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি , আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রনী ও রূপালী ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহন করেছে। এছাড়া বেক্সিমকো গ্রæপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে।
সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো ফার্মাসটিক্যিালসের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশ হতে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান আত্মগোপন করেন। পরে ১৩ আগষ্ট পালিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। এরপর থেকে অন্যান্য মামলায় সালমান এফ রহমান গতকাল পর্যন্ত ডিবির রিমান্ডে ছিল।