গত ১৬ বছরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে সেখান থেকে বের হয়ে জনগণের আস্থার জায়গায় আসার পরামর্শ দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। বেলা পৌনে ১টায় সেগুনবাগিচায় তারা দুদকের প্রধান কার্যালয় আসেন। চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ শেষে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কাউকে পদে বসানো, কাউকে পদত্যাগ করানো, কারও থেকে চাঁদা তোলা বা তদবির করা এগুলো প্রাচীন, অতীত। আমরা এসবকে লকারবন্দি করতে চাই। তিনি বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নাম বা সাইন জালিয়াতি করে হুমকি ও মামলা দেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অভিপ্রায়ে এসব করা হচ্ছে। আমাদের সমন্বয়ক নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। সিস্টেম সিস্টেমের মতো করে চলবে। দুদকের আইন অনুযায়ি দুদক কাজ করবে।
এসময় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, গত ১৬ বছরে দুদকের যে ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে তা থেকে যেন তারা বের হয়ে আসতে পারে সে বিষয়ে আমরা দুদকের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। দুদক যেন জনগণের আস্থার জায়গা ফিরে পেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দুদককে বলেছি গত ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাদের পছন্দ হয়নি তাদের মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। কারও পরিবার নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, কারও জমি জমা নিয়ে সমস্যা হয়েছে, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আর যেন এমন না হয়, সেটাই বলেছি। আর যেন কোনো রাজনৈতিক দল মিথ্যে মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করতে না পারে, সেই বিষয়টি বলেছি।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা দুদকে এসেছি। আমরা খবর পেয়েছি-আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। স্বাক্ষর নকল করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে অসাধু উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এ বার্তাটি স্পষ্ট করতে এসেছি। আমাদের লিগ্যাল কোনো অথোরিটি নাই। আমাদের নাম ব্যবহার করে বিশেষ কোনো সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ও দেওয়ার এখতিয়ার আমরা রাখি না।’
দুদক দুদকের আইন অনুযায়ি চলবে বলে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে অসাধু উপায়ে কোনো সুবিধা নিতে না পারেন, এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে দুদকে এসেছেন।