রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দুই ঘন্টা অবরোধের পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে পায়ে-চালিত রিকশাচালকরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুইশ থেকে তিনশ রিকশাচালক তাদের রিকশা নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা আল্টিমেটাম দিয়ে সরে যান। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৃহত্তর ঢাকা সিটি কর্পোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট আয়োজিত এক কর্মস‚চিতে কিছু দাবি জানান পায়ে চালিত রিক্সা চালকেরা। এরমধ্যে রয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে রিকশা মালিকানা নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে; এ ছাড়া বিগত সরকারের সময়কালে ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সরকার দলীয় চাঁদাবাজরা আধিপত্য বিস্তার করে রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকায় অন্যায় ও বেআইনিভাবে বিশেষ পোশাকে রিকশা পরিচালনা করে আসছিল, সেসকল রিকশাগুলোকে বন্ধ করে, পায়ে চালিত বৈধ রিকশাকে চলাচলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে আয় কমেছে জানিয়ে আন্দোলনরত রিকশাচালক বলেন, ‘ব্যাটারি রিকশাওয়ালারা মেইন রাস্তায় চলে আসে। মানুষ ব্যাটারি চালিত রিকশায় যেতে চায়। তারা ৪০ টাকার ভাড়া ৩০টাকা, ২০ টাকায় চলে যায়। এতে আমাদের ট্রিপ কম গেছে।’ তবে যাদের হাত, পা নাই, চলতে পারে না এমন চালকদের অটোরিকশা চালাইতে দেওয়া যায় বলে জানান অনেকে। ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী বলেন, তারা তাদের দাবিগুলো জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।