জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধের সরকারি আদেশ দ্রæতই প্রত্যাহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরবর্তীকালে জামায়াত নিযুক্ত আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট সরকারের দপ্তরসমূহে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে জানিয়েয়েছেন, সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ড সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা আশা করছি, দ্রæততম সময়ের মধ্যে, এমনকি মঙ্গলবারের মধ্যেই আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধের আদেশটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
শিশির মনির বলেন, তৎকালীন ফ্যাসিবাদি সরকারের কাছে, তথ্য ছিলো যে জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত। অথচ কী ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, কী সেই সন্ত্রাস, কী সেই অ্যাকটিভিটি-এই মর্মে কোনো ব্যাখ্যা তৎকালীন সরকার দেয়নি। আমরা বর্তমান সরকারকে এটা বলেছি যে, আপনাদের কাছে যদি কোনো নির্ভরযোগ্য বা সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকে তাও আপনারা দেখাতে পারেন। শুধুমাত্র একটি গণঅভ্যুত্থানের কর্মকান্ডকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য তখন জামায়াতকে নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো তৎকালীন সরকার।
প্রসঙ্গত গত পহেলা আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাস দমন আইনের ১৮(১) এ ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোকে রানৈতিক দল এবং সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নিবন্ধন মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে
অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হলে জামায়াতের দ্বিতীয় এজেন্ডা হলো নিবন্ধন মামলাটি আপিল বিভাগে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া। আপিল বিভাগ যদি ইতিবাচকভাবেক এ মামলা নিষ্পত্তি করে তাহলে অতীতের প্রতীকই দলটি ফিরে পাবে। এটাই আইনগত বিধান। তিনি বলেন, দাড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তা প্রশাসনিক। ফুলকোর্ট প্রশাসনিক বডি হওয়ায় বিচারিক কার্যকরনের ক্ষমতা তাদের নাই। আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যকরনের ক্ষমতা আছে। কোন প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই কোন বিচারিক সিদ্ধান্তের উপর প্রাধান্য পাবে না।