spot_img

হারুন ও আছাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয় বর্র্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের সত্যতা পাওয়ায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। গতকাল রবিবার বিকালে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। একই দিনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের নামে থাকা ব্যাংকের হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে এই দুই পরিবারের সব সদস্যদের অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলা হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জে নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ নামে বিলাসবহুল প্রমোদাগার। জেলার মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। রিসোর্টটিতে শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। রিসোর্টটিতে হারুনের পরিবারের ৫ থেকে ৭ একর জায়গা রয়েছে। বাকি অন্তত ৩৫ একর জায়গা ছিল অন্যদের। অন্য জমির মালিকদের দাম দিবেন বলে হারুন রিসোর্টের জন্য জায়গা দখলে নেন। তবে কেউই জমির দাম পুরোটা পাননি। জায়গার দাম না পাওয়ায় এখনো অন্তত ১০ থেকে ১২ জন তাদের জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি। তাদেরই একজন মিঠামইন সদর ইউনিয়নের গিরীশপুর গ্রামের দিলীপ বণিক দুদকে অভিযোগ করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ উঠেছে দুদক সেটি যাচাইবাছাই কমিটির মাধ্যমে বিচার বিশ্লেষণ করেছে। যাচাই বাছাইয়ে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।
আমু ও হারুনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করার বিষয়ে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে। চিঠিতে আমির হোসেন আমু ও সন্তানের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের নামে থাকা ব্যাংকের হিসাব এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ওই চিঠিতে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের ছেলে, মেয়ে, মাতা, পিতা, ভাই ও বোনের হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ