আজিমপুর গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলী বড়–য়ার অনিয়মও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বেশ কিছুদিন তার পদত্যাগ জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসাবে গতকাল সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে বিক্ষোভ এবং পদত্যাগ দাবি করে।
দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষের রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিক্ষোভ চলাকালে অধ্যক্ষ ৫/৬ জন বহিরাগত শিক্ষার্থীদের এনে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। বহিরাগতরা এসে শিক্ষার্থীদের মিছিল এবং বিক্ষোভ না করার জন্য বলে। কিন্তু আমরা এতে রাজি না হওয়ায় আমাদের ওপর চড়াও হয় বহিরাগতরা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, এই বহিরাগতরা আমাদের এক শিক্ষার্থীকে চড়থাপ্পর দিয়ে ওয়াসরুমে আটকে রেখেছিল। কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এছাড়া আরো ৭/৮ জন শিক্ষার্থীকে মারধরও করা হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বহিরাগতরা এই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়। কিন্তু তারা কোন সেশনের শিক্ষার্থী ছিল বা তাদের সহপাঠী কারা ছিল এ বিষয়ে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এ সময় ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। একই সময় শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের ধরে ফেলে। সেনাবাহিনী এসে বহিরাগতদের আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা হাত তালি নিয়ে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভ‚ক্ত তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তেজগাঁও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বরিবার শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে খামারবাড়ি হয়ে ফার্মগেটের প্রধান সড়কে বসে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা একদফা এক দাবি অধ্যক্ষের পদত্যাগ শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে তেজগাঁও কলেজ থেকে সরাসরি কোন শিক্ষার্থীকে ভ‚মিকা রাখতে দেয়া হয়নি। এছাড়া ছাত্রলীগ দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিসহ হয়রানি করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্নভাবে আন্দোলনে যোগ দেয়ায় অনেকে হামলার শিকার হয়েছে, কারো হাত ভেঙ্গে গেছে আর কারো শরীরে রাবার বুলেটের চিহ্ন। কলেজ অধ্যক্ষ কোনও শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নেননি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অধ্যক্ষ সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত; অর্থাৎ তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখনো বহাল আছেন। যার কারণে শিক্ষার্থীদের
এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স কলেজের (পুরোনো হোম ইকনোমিক্স কলেজ) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল ৪টার পর অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। ফলে নীলক্ষেত মোড় দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ‘পলিটিক্যাল ট্যাগ’ লাগিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করা হয়েছে।