spot_img

টুকু, পলক ও সৈকত ১০ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর এ তিন নেতাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দুপুরে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত রিমান্ড মঞ্জুরের পর বিকেল ৫টার দিকে তিনজনকে বিকালে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মহা. আশরাফুজ্জামান বলেন, রিমান্ড আদেশ শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
গত ১৯ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকায় গুলিতে নিহত হন রিকশাচালক কামাল মিয়া (৩৯)। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করে ২০ জুলাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৩৬)।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আমার স্বামী কামাল মিয়া (৩৯) পেশায় একজন রিকশাচালক। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারি, আমার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় পল্টন মডেল থানার বটতলা গলির মুখে পড়ে আছে। তখন আমি ও আমার মেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রæত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী এজাহারে আরও বলেন, ঘটনাস্থলের স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ওই স্থানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা রাস্তা অবরোধ করে আগুন দেয় এবং বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। তখন কাকরাইল থেকে পল্টন থানায় আসার পথে একজন পুলিশকে দুষ্কৃতিকারীরা আটক করে মারধর করে। তার কাছে থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি, ওয়ারলেস সেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। তখন পল্টন থানা পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে এসে দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে। এসময় দুষ্কৃতকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশওপাল্টা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশ ও দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া পাল্ট ধাওয়ার মাঝে পড়ে যান রিকশাচালক কামাল মিয়া। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে আহত হয়ে মারা যান কামাল মিয়া।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ