রাত ১২ টার পর থেকে পাড়া মহল্লার মসজিদ থেকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, ‘আমাদের এলাকায় ডাকাত ঢুকেছে। আপনারা সজাগ হোন। যার যার এলাকার অলিগলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। বাইরের কাউকে দেখলে পরিচয় জিজ্ঞাসা করুন। ডাকাত ধরা পড়লে আর্মিকে জানান।’ এ অবস্থা বৃহস্পতিবার রাত ১ টার পর থেকে রাজধানীর প্রায় সব এলাকা জুড়ে। আতঙ্কিত মানুষ নিরাপত্তা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ওয়ালে পোস্ট করতে থাকেন।
উত্তরার ১২, ১৩, ১৪ নম্বর সেক্টর, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, দক্ষিনখান, উত্তরখান, খিলক্ষেত, ডুমনী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১, পল্লবী, কাজীপাড়া, কাফরুল, কচুক্ষেত, কাঁঠালবাগান, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মুগদা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া, মান্ডা, শাজাহানপুর, গণকটুলী, কসাইটুলী, ভ‚তেরগলি, হাতিরপুল, সেন্ট্রাল রোড, পশ্চিম ধানমন্ডি, রায়েরবাজার, তাজমহল রোড, নূরজাহান রোড, মোহাম্মদীয়া হাউজিং, ঢাকা উদ্যান, মেরুল বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা, নতুন বাজার, বনশ্রী, নন্দীপাড়া, কুতুবখালী, কাজী আলাউদ্দিন রোড, পোস্তা, চকবাজারসহ অনেক এলাকার মসজিদে মাইকিং করা হয়। এসব এলাকায় স্থানীয় শিক্ষার্থী, যুবক, তরুণ রাস্তায় লাঠি ও বাঁশি নিয়ে নেমে আসে। তারা প্রতিটি গাড়ি প্রবেশের সময় তল্লাশি করে। ভোর পর্যন্ত তারা ডিউটি করে।
এসব এলাকায় পুলিশের অনুপস্থিতিতে ডাকাতির খবরে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে নগরবাসী। বিভিন্ন এলাকায় নিজস্ব টিম গঠন করে পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ডাকাতির খবর পেয়ে এলাকাবাসী ফোন করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে। ফোন পেয়ে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। দুই একটি স্থানে সন্দেহজনকভাবে কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হলেও তারা ডাকাত কিনা-এ ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকান্ড, হানাহানি এবং প্রাণনাশের হুমকির সম্মুখীন হলে নিকটস্থ সেনাবাহিনী ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান ও গুজবে আতঙ্কিত হয়ে সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ডাকাতি ও জননিরাপত্তা হানিকর কর্মকান্ড প্রতিরোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ফোন করার জন্য নগরবাসীকে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বিজিবির ০১৭৬৯৬০০৫৫৫ এবং ০১৮৮৯৬০০৫৫৫ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।