ছাত্রবৈষম্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতাবিরোধী যে চক্র বাংলাদেশ সরকারকে অকার্যকরের লক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেল স্টেশন, এলিভেটর এক্সপ্রেস টোল প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন জনসেবামূলক স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি এবং দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মানববন্ধন করেছে চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ (১৯ সংগঠন)।
গতকাল শনিবার সকালে এফডিসির প্রযোজক সমিতির সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।
পরিচালক শাহ আলম কিরণের সঞ্চালনায় সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের সভাপতি খোরশেদ আলম খসরুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান, রোকেয়া প্রাচী, অরুণা বিশ্বাস, রতœা, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, সঙ্গীতশিল্পী-পরিচালক এসডি রুবেল, পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, এস এ হক অলিক, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক প্রমুখ।
এসময় তারা নিহত সকলের আত্মার মাগফেরত কামনা করেন। সেই সঙ্গে কোমলমতি মেধাবী ছাত্রদের আন্দোলন ছিনতাই করে তৃতীয় পক্ষের সহিংসতার নিন্দা জানান।
খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনে আমাদের সর্মথন ছিল ও আছে। ছাত্ররা যা চেয়েছিল তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। তবে ছাত্র আন্দোলন এখন আর ছাত্রদের হাতে নেই। এটি এখন তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে গেছে। এরপর থেকে ধ্বংসের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর ছাত্র আন্দোলন নেই। তাই চলচ্চিত্রে সূতিকাগার থেকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করছি। এই দেশে আমরা শান্তি চাই। চলচ্চিত্র পরিষদ সবসময় শান্তির পক্ষে।
হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার কামনা করে অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী বলেন, যারা বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংস করতে চায় তাদের হাতের পুতুল আপনারা (শিক্ষার্থীরা) হবেন না। তাই অভিভাবকদের অনুরোধ করব আপনার সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নেন।
‘সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ’-চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম। তবে এই মানববন্ধনে হাতেগোনা কয়েকজন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ছাড়া অধিকাংশ ছিল অপরিচিত মুখ। দেখা যায়নি পরিচালক সমিতি, প্রদর্শক সমিতি, শিল্পী সমিতি, চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফাইটার সমিতিস, ফিল্ম ক্লাবসহ অন্যান্য সংগঠনগুলোর নেতাদের। ফলে চলচ্চিত্র পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।