ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে ডিবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে ডিএমপির লজিস্টিকস, ফিন্যান্স বিভাগের মহা. আশরাফুজ্জামান। ডিবি থেকে হারুন অর রশীদকে ডিএমপি সদর দপ্তরের ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগে বদলি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ পদায়ন করা হয়। একই প্রজ্ঞাপনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস থেকে ডিএমপির লজিস্টিকস বদলি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান হারুন অর রশীদ। তার আগে ২০২১ সালের মে মাসে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হিসেবে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন হয় তার। এর আগে ডিএমপির লালবাগ ও তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডিএমপির ডিবি প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পাবার পর থেকে হারুন অর রশীদ বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে সারাদেশে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন। এর মধ্যে গুলশানে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিরো আলম, বোটক্লাবকান্ডে নায়িকা পরীমনিসহ নাটক-চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিএনপির একাধিক রাজনৈতিক নেতাসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয় বহুবার। সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেয়। এরপরই তাদেরকে দিয়ে ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা এবং এক টেবিলে বসে খাওয়া-দাওয়ার ভিডিও সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বইয়ে যায়। এরপরই উচ্চ আদালত এ বিষয়ে মন্তব্য করেন। উচ্চ আদালত বলেন, ডিবি অফিসে যাকে তাকে ধরে নিয়ে খাবার খেয়ে সেই ছবি প্রকাশ করা জাতির সঙ্গে মসকরা করার সামিল।
সর্বশেষ ৩০ জুলাই গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে জোটের নেতারা ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কঠোর সমালোচনা করেন।