কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। একইসঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে এক সদস্যের এই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন কাজ করছে। এখন তা তিন সদস্যে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিশনের টাইম অব রেফারেন্স (টিওআর) বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে শুধু ১৬ জুলাইয়ের ঘটনার কথা বলা হয়েছিলো। এখন সেটা ২১ জুলাই পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো তদন্তে আনতে পারবে কমিশন। আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু তদন্তের পরিধি বাড়ানো হয়েছে সেহেতু আমরা চিন্তাভাবনা করছি যে তদন্ত কমিশনের সদস্য সংখ্যা তিনজনে উন্নীত করার।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ছয়জন নিহত এবং দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটনা তদন্তে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে এই কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিশনকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। দি কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্টের ৩ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ১৮ জুলাই এই তদন্ত কমিশন গঠন করে সরকার। কমিশনকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করতে কমিশনকে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বৈঠক করেছে কমিশন। সেখানে একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের পদ্ধতি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানায় কমিশন প্রধান বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।