বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ‘অভিভাবকদের মৌন অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্রশাসনিক গেটের পাশে জড়ো হতে শুরু করেন অভিবাবকরা। তবে এর আগে থেকে ঢাকা মেডিকেলের প্রশাসনিক বøক গেট ও জরুরি বিভাগের গেটের সামনে অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
অভিবাবকরা জড়ো হতে থাকলে প্রথমেই বাধার সম্মুখীন হন তারা। পুলিশ তাদেরকে সরে যেতে বললে অস্বীকৃতি জানান তারা। তবে এক পর্যায়ে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের গেটের ভিতর ঢুকতে দেয়া হয়। এসময় নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী সীমা দত্ত বলেন, আন্দোলনে আহত হয়ে যেই সন্তানেরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তাদেরকে আমরা দেখতে এসেছি। পুলিশ আমাদেরকে সেখানেও যেতে দিচ্ছে না। শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উনারা বলছেন আমরা এখানে দাঁড়াতেও পারবো না।
শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের (শিশির) আহŸায়ক রাখাল রাহা বলেন, সামান্য একটা অধিকারের আন্দোলনের জন্য রাষ্ট্র এইভাবে আমার সন্তানকে হত্যা করে। দুনিয়াতে এমন আর কোন জঘন্য রাষ্ট্র আছে যে তার শিক্ষার্থীদের উপর এইভাবে গুলি চালাতে পারে? আহত হয়ে যারা হাসপাতালে এসেছিলো, তাদের উপরও আবার হামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছিলো, সেখান থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়েছিলো, এখানে মৃত্যবরণ করে সে ফিরে গেছে, চিকিৎসার অভাবে। তিনি আরো বলেন, আমরা অভিবাবক, শিক্ষকসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাবো। বাংলাদেশ সচেতন অভিবাবক সমাজ এর আহŸায়ক মাহমুদ আবু মুসলিম বলেন, আমরাতো এখানে কোনো গাড়ি ভাংচুর করছি না, বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করছিনা, তারপরও তারা আমাদের কেনো এখানে দাঁড়াতে দিলো না, বুঝলাম না।