সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখনই চালু হচ্ছে না। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ইন্টারনেট পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে। এতে ব্যাংক, কূটনৈতিক পল্লী, ব্যবসা, মিডিয়া ও আইসিটি খাত অগ্রাধিকার পাবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ইন্টারনেট চালু করার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) জানিয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ি নির্দিষ্ট এলাকাগুলোতে ইন্টারনেট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাতেই অনেক এলাকায় ইন্টারনেট চালু হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু কবে নাগাদ হতে পারে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারের বিবেচনায় আছে, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ইন্টারনেটই চালু হবে। তবে কখন হবে সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। অগ্রাধিকার হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু কর হচ্ছে। মিডিয়ার জন্যও চালু হচ্ছে। বিদেশি কূটনীতিকদের এলাকাগুলো এবং আইসিটি ও সরকারের ডিজিটাল সেবা খাতগুলোতেও ইন্টারনেট প্রথম দফায় চালু হচ্ছে। রাতের মধ্যেই এগুলো চালু হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বুধবার থেকে অন্য এলাকাগুলোও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস চালুর ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় ভয়েস কল বা টকটাইমের উপর ভরসা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু সেখানেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কল ড্রপ যেমন বেড়েছে, তেমনি অতিরিক্ত টাকা কাটা হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। এক সপ্তাহ হয়ে গেছে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে যারা ৭ দিনের প্যাকেজ কিনেছিলেন তারা ব্যবহারই করতে পারেননি। অথচ তাদের ইন্টারনেটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। প্রতিদিন যে পরিমান ইন্টারনেটের প্যাকজ বিক্রি হয় তাতে কয়েক কোটি টাকার ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গ্রাহকরা এই প্যাকেজ ফেরত চেয়েছেন। যদিও মোবাইল অপারেটররা বলছে, সরকারের সিদ্ধান্তে তারা ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে। ফলে এই ক্ষতির দায় সরকারকেই নিতে হবে। অপারেটররা এখানে ভর্তুকি দেবে না। তবে বিটিআরসি থেকে কোন সিদ্ধান্ত এলে সেটা বিবেচনা করা হবে।