সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় দুইজন, চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আরও সহ¯্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও অনেক জায়গায় সংঘর্ষ চলছিল। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে দু’টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। কারা আগুন দিয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গতকাল বেলা তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারীকে গুলি করতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। চট্টগ্রামে নিহত তিনজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন মো. ফারুক (৩২) ও মো. ওয়াসিম (২২)। ফারুক একটি আসবাবের দোকানের কর্মচারী এবং ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহŸায়ক। অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া আহত অন্তত ২০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুজহাত ইমু বলেন, নিহত দু’জনের মধ্যে ফারুকের বুকে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ওয়াসিমের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত অপরজনের পিঠেও গুলির চিহ্ন রয়েছে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর ঢাকা কলেজের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের একজনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় তার মা আয়েশা খাতুন ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে ছেলের লাশ সনাক্ত করেন। শাহ জাহান (২৬) নামে এই যুবক মতিঝিলে ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তাদের বাসা কামরাঙ্গীরচরে। অন্যদিকে ঢাকা কলেজের সামনে মটরসাইকেল আরোহী এক যুকককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কোন স্বজন এখনও হাসপাতালে আসেনি।
পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রিফাতুল ইসলাম বলেছেন, বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় একদল লোককে এক ব্যক্তিকে পেটাতে দেখেন। পরে জানতে পেরেছেন, তিনি ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন। অন্যজনের ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা দুইটার দিকে ওই মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর পর থেকে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এরই মধ্যে বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর সেখানে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
রংপুরেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত আবু সাঈদ (২২) রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন সমন্বয় কমিটির সদস্য ছিলেন। গতকাল বেলা দুইটার দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত হন আবু সাঈদ। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশিকুল আরেফিন।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন : দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া রংপুর ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তাদের মোতায়েন করা হয়।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, ‘চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, রংপুর ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন।’
সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ, আহত শতাধিক : রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের পাশের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিল। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সোমবার হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ২টার দিকে ওই মিছিলে হামলা চালান ছাত্রলীগ ও ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঢাকা কলেজের ফটকের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হাতে রামদা, রড, লোহার পাইপ, লাঠি নিয়ে অবস্থান নেন। খানিক দূরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরও অবস্থান নেন। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। বিকেল সাড়ে ৫টার পর শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান থেকে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ঢাকা কলেজের সামনে পিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর সিটি কলেজের সামনে মাথায় আঘাত পাওয়া আরো একজনকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার নাম শাহ জাহান। তার লাশও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রিফাতুল ইসলাম বলেছেন, বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনের রাস্তায় এক দল লোককে এক ব্যক্তিকে পেটাতে দেখেন তারা। পরে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেলে মারা গেছেন। ওই যুবককে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান। তিনি বলেন, নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও সাদা গেঞ্জি রয়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চানখাঁরপুলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার জানান, রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। গতকাল দুপুর থেকে দিনব্যাপী চলে এই ঘটনা। ধাওয়া পালটা ধাওয়ার এক পর্যায়ে শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজ এর রাস্তা থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এসময় টানা চার রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। এই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে পলক শানজিদ শুভ ও রাতুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর সাফিন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী।
এর আগে গতকাল দুপুর থেকেই ছাত্রলীগ সভাপদি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত এর অনুসারীরা মাথায় হেলমেট হাতে হকিস্টিক ও লাঠি হাতে টিএসসিতে অবস্থান নিতে শুরু করেন। গতকাল সরেজমিন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মলচত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, রাজু ভাস্কর্য ও রোকেয়া হলের দিকে বহিরাগতরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করছেন। এসময় তাদের হাতে, হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, রড, স্টিলের পাইপ, বাশ সহ দেশীয় অস্ত্র হাতে তাদের দেখা যায়।
অন্যদিকে গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল কমিটির এক জরুরি মিটিং এ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সহ ক্যাম্পাসে কোন সমাগম করলে লাঠিসোঁটা হাতে না রাখাতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের ছেলেদের দুপুর থেকেই দেশীয় অস্ত্র সহ ক্যাম্পাস মহড়া দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বহিরাগত মহানগর ইউনিটের কর্মী ও বস্তির টোকাইরা ক্যাম্পাসে লাঠিসোঁটা নিয়ে মহড়া দেয় ও রাজু ভাস্কর্যের উপরে উঠে ¯েøাগান দিতে থাকে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন নিষেধাজ্ঞাই শোনেনি।
এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল শিক্ষার্থীদের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ থাকলেও শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগ ও বহিরাগত টোকাইদের লাঠিসোঁটার মহড়া দেখে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকে। ছাত্রলীগের হাতে লাঠিসোঁটা দেখে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরাও লাঠি, স্ট্যাম্প নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকেও ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানের নেতৃত্বে প্রক্টর টিম টিএসসিতে মাইকিং করে বহিরাগতদের সরে যেতে বলে। সহকারী প্রক্টররা শিক্ষার্থীদের কাছে গেলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মুহিত নামে একজন সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করে।
চানখারপুল এলাকায় দুপুর থেকেই রাত পর্যন্ত স্থানীয় ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যা ৭ টায় টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার যাওয়ার রোডে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দুটি সাযোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পুলিশের এক পাশে অর্থাৎ আন্দোলনকারীরা রাসেল টাওয়ার হয়ে শহীদ মিনার এলাকা ও টিএসসি রাজু ভাস্কর্য এলাকায় ছাত্রলীগকে লাঠিসোঁটা সহ অবস্থান নিতে দেখা যায়। এসময় টিএসসির ছাদে ১০ থেকে ১৫ জন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতা অবস্থান নেন। অন্যদিকে রাত ৮ টার দিকে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা হল গেটের সামনে এসে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ সহ বিভিন্ন ¯েøাগান দিতে থাকেন।
জবির তিন শিক্ষার্থী সহ চারজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ : আমাদের জবি সংবাদদাতা জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ও সরকারি কবি নজরুল কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে রায় সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা এ গুলি বর্ষণ করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়া ৪ জন হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যচের মার্কেটিং বিভাগের এর শিক্ষার্থী অনিক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের নাসিম ও কবি নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছুরিকাঘাতে তায়াফ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।