এমপি আনওয়ারুল আজিম আনার খুনের রহস্য উদঘাটনে উদ্ধার হওয়া মাংস এবং হাড়ের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত আদালতের কাছ থেকে পেল পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। তারা জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মারফত কলকাতার বাংলাদেশ উপ–দূতাবাসের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহের জন্য আনওয়ারুল আজিম আনারের পরিবারের তিন সদস্যকে কলকাতায় আসতে সিআইডির তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তত্বাবধানে তাঁরা কলকাতায় আসবেন।
আনওয়ারুল আজিম আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন, স্ত্রী ইয়াসমিন ফেরদৌস ও ভাই এনামুল হককে কলকাতায় আসতে সিআইডির তরফে বলা হয়েছে। জানা গেছে, তাঁরা কলকাতায় এলে ডিএনএ–র নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। কিছু ফরেনসিক পরীক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্য এমপি আনারের স্ত্রীকে আসতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তাঁদের কাছ থেকে কিছু জানতে চাওয়া হবে। ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের নমুনার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া মাংস এবং হাড়ের ডিএনএ মিলে গেলে বাংলাদেশের সাংসদ খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জানা গেছে, আনওয়ারুল আজিম আনারের কলকাতায় হত্যার ঘটনার পর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা নিজেরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কলকাতায় যেতে সাহস পাচ্ছেন না। বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেনও। ঠিক হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে কলকাতায় আসবেন। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলেই আনারের পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে সিআইডির তদন্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে কলকাতায় রওনা হবে।
জানা গেছে, ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতায় ইতিমধ্যে জিহাদ হাওলাদার এবং শিহাব ধরা পড়েছে। বাংলাদেশেও একাধিক জন ধরা পড়েছে। চক্রান্তের জাল অনেক দূর ছড়ানো। ভয় দেখানোর জন্য আনওয়ারুল আজিম আনারের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মে মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশের সাংসদ খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিদেশে গেলে সেই নিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। ঠিক হয়েছে ঢাকা থেকে বিমানে তাঁদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হবে।