spot_img

আমার বাসায় পিয়ন ছিল, সেও ৪০০ কোটি টাকার মালিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সময় কিছু অনিয়ম হয়ে থাকে। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন হাত দিয়েছি, আমি ছাড়বো না। আপন-পর জানি না, দুর্নীতি যেখানে হোক, যেই হোক, আমি তাকে ধরবো। এক্ষেত্রে ঘোষিত জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অনেক সময় এসব ধরতে গেলে অনেকে বলে, এটা প্রচার হলে ভালো হবে না, ইমেজ নষ্ট হবে, অমুক হবে। আমি তাতে বিশ্বাস করি না, কেয়ার করি না। আমার ইমেজ নষ্ট হলে হোক, অন্যায়- অবিচার হলে আমি ধরবোই। এখানে কোনো দ্বিধা নেই। আগামীতে যাতে এটা না চলতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের ধরছি বলেই, এখন সবাই জানতে পারছেন। আমার বাসায় কাজ করে গেছে একজন পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। কী করে বানালো এই টাকা। যখন আমি জেনেছি, তাকে বাদ দিয়ে কার্ড সিজ করে আমি ব্যবস্থা নিয়েছি।’ রবিবার বিকালে গণভবনে জনকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফরে অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্যের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
কোটা আন্দোলন নিয়ে কোটা বাতিল করে পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আদালতে পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা মামলা করল, সেই মামলাটায় উচ্চ আদালত যদি কোনো রায় দেয়, সেখানে আমাদের তো কিছু করার নেই। আদালতে রায় হয়েছে, রায়ের বিরুদ্ধে আমার দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নাই। সেটা তো সংবিধানও বলে না। পার্লামেন্টের কার্যপ্রণালিও বলে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আদালত থেকে কোনো রায় না আসে, ততক্ষণ আমাদের কোনো কথা থাকে না। এটা বাস্তবতা, এই বাস্তবতা আমাদের মানতে হবে। আন্দোলনকারীদের অনড় অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, এখন যারা আন্দোলন করছে তারা আইন মানবে না, আদালত মানবে না, সংবিধান কী এটা তারা চেনে না। নির্বাহী কাজ করতে হলে, তার যে নীতিমালা বা তার যে ধারা থাকে, সরকার কীভাবে চলে এই সম্পর্কে কোনো ধারণাই এদের নেই, কোনো জ্ঞানই নাই। হ্যাঁ, পড়াশোনা করছে, ভালো নাম্বার পাচ্ছে সেটা ঠিক, ভবিষ্যতে এরাও তো নেতৃত্ব দেবে, তো এই ধারণাগুলো জানা দরকার। সংবিধান কী বলে সেটা তাদের জানা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা (কোটা) যখন আদালতে চলে গেল, আদালতে সেটার সমাধান হবে। আদালতে তো তাদের সুযোগ দিয়েছে, ‘আপনারা আসেন, যুক্তি দেন’। তারা আদালতে যাক, বলুক। না, তারা রাজপথেই সমাধান করবে। কোটা থাকার যুক্তি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের সব এলাকা তো সমানভাবে উন্নত না, অনগ্রসর সম্প্রদায়ও আছে। সেইসব এলাকার মানুষের কি কোনো অধিকার থাকবে না? সেই অধিকারের কথা চিন্তা করে প্রত্যেক জেলা থেকে যেন চাকরি পায়, সেই চিন্তাটাও তো করতে হবে।’ রাজপথে সহিংসতা হলে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করছে, করতেই থাকবে। তবে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারবে না। যতক্ষণ তারা শান্তিপ‚র্ণভাবে করে যাচ্ছে, কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এর বাইরেও যখন কিছু করবে, পুলিশের গায়ে হাত দেওয়া বা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা, এগুলো করতে গেলে তো আইন তার নিজের গতিতে চলবে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

সরকারি চাকরিতে কোটার পক্ষে নিজের অবস্থানও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র কীভাবে চলবে, সেটা তো আমাদের সংবিধানে দেওয়া আছে। যেখানে সংবিধানে আছে, অনগ্রসর যারা তাদেরকে রাষ্ট্রের কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। তারা কি সংবিধানটা পড়ে দেখেছে কখনও? আর মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে?’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলন করার আগে তো তাদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিল যে কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে! দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি পুতিরা (চাকরি) পাবে? মুক্তিযোদ্ধাদের অপরাধটা কী? নিজের জীবন বাজি রেখে, নিজের পরিবার সংসার সব বাদ দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, খেয়ে না খেয়ে, কাদা মাটিতে রোদ বৃষ্টি ঝড় সব উপেক্ষা করে যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই সবাই উচ্চপদে আসীন, আজকে বড় গলায় কথা বলতে পারছে। নইলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেয়ে মরতে হত।’ পাকিস্তান আমলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলত না এবং ভিসা নিতে হলে করাচিতে যেতে হত জানিয়ে না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ছেলেমেয়েরা তো এটা দেখেনি। এখন তারা লাফাচ্ছে, এমনকি ১৫ বছর ২০ বছর আগের কথাও তারা জানে না। বাংলাদেশের অবস্থাটা কী ছিল? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি, সেশন জট। কোনো সেমিস্টার সিস্টেম ছিল না। গ্রেডিং পদ্ধতি ছিল না, বহু সাবজেক্ট ছিল না। বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি করে কেউ বিদেশে গেলে আবার গোড়া থেকে সেই ইন্টারমিডিয়েট থেকে শুরু করতে হত। স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়ে আবার শুরু করতে হত।’


তাহলে সে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিক: মুক্তিযোদ্ধার এক নাতনি কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখন চাকরিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুই চলে আয়, তোর পড়াশোনার দরকার কী? মুক্তিযোদ্ধার নাতি হিসেবে কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখন বলে, ‘কোটা লাগবে না’। তোকে তো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া উচিত, তোর পড়ালেখা দরকার নাই, বাড়ি গিয়ে বসে থাক। যদি লজ্জা থাকত, তাহলে ভর্তি বাদ দিয়ে তার পরে এসে আন্দোলন করত। কী যে বিচিত্র এই দেশ!- এ কথা বলে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিচিত্র এক মানসিকতা। ছয় ঋতুর দেশ তো, ঋতুও বদলায়, মনমানসিকতাও বদলায়।’
কোটা তুলে দেওয়ার ফল কী হয়েছে? ২০১৭-১৮ সালের কোটা আন্দোলন চলার সময় কিছু ‘জ্ঞানীগুনী’ ঘরে বসে ‘মিথ্যা অপপ্রচার’ রেকর্ড করে ছেড়ে দিত মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের ঘটনা দেখে আমি খুবই বিরক্ত হয়ে যাই, তখন এক পর্যায়ে বলি, ‘ঠিক আছে কোটা বাদই দিয়ে দিলাম। সেখানে উদ্দেশ্যটা ছিল, আগে দেখ কোটা বাদ দিলে কী হয়। তো এখন কী অবস্থা হয়েছে? বেশি দুর যাওয়া লাগবে না, এবারই ফরেন সার্ভিসে মাত্র দুজন মেয়ে চান্স পেয়েছে। আর পুলিশ সার্ভিসে মাত্র চারজন মেয়ে চান্স পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে অন্য তালিকা থেকে নিয়োগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারপরেও যখন আন্দোলন শুরু হলো তখন সব বন্ধ করে দিলাম। সেখানে আজকে ফলাফলটা কী দাঁড়াচ্ছে?’ ২০১৭ ও ১৮ সালের কোটা আন্দোলনে যে মেয়ে ‘নারী কোটা চাই না, মেধা দিয়ে চাকরি করব’ বলেছিলেন, তিনি চাকরি পেয়েছেন কি না, তিনি বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছেন কি না সে প্রশ্নও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কথা যদি না বলত, তাহলে কোথাও না কোথাও একটা চাকরি তো পেত। কোটা তুলে দেওয়ার পর ২৩ টা জেলার একটা লোকও পুলিশে চাকরি পায়নি। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে ডাক্তার নিয়োগ ছাড়া বাকিগুলোতে মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তাহলে কী হল?’
কোটায় নিয়োগ পেলে কি মেধাবী নয়? অন্য এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে কোটার প্রার্থীদেরও প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইবা হয়ে আসতে হয়। সেই সময় (চ‚ড়ান্ত ফলে) মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে কোটা পাবে। আর সব সময় তো প‚রণ হয় না।’ কোটা আর মেধা নিয়ে দ্ব›দ্ব তৈরি করাটা একটা কৌশল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার মানে কি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-পুতিরা কেউ মেধাবী না? শুধু রাজাকারের বাচ্চারা, নাতি-পুতিরা মেধাবী? তাই না? কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, যাদেরকে মেধাবী না বলছেন, তাদের হাতে কিন্তু ওরা পরাজিত। যুদ্ধে কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারাই জয়ী হয়েছিল, রাজাকাররা জয়ী হয় নাই। তারা পাকিস্তানিদের পদলেহন করেও পরাজিত হয়েছিল। এই কথাটা মনে রাখা উচিত তারা তো পরাজিত হয়েছিল। তাহলে তাদের মেধাটা কোথায়? তাদের মেধাটা কোথায় সেটা আমার প্রশ্ন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসে সুবিধাভোগীদের খুঁজে বের করা গেলে ব্যবস্থা: বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে পাস করা এবং চাকরি পাওয়া ক্যাডারদের খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঘুষ যে নেয় আর ঘুষ যে দেয়, দুজনেই সমান অপরাধী। সুতরাং প্রশ্নফাঁসের ঘটনায়ও যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে তাদের ধরা হচ্ছে। আর তাদের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে কারা কারা এর সুবিধাভোগী সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র যারা ফাঁস করে, আর সেই প্রশ্নপত্র যারা ক্রয় করে দু’জনেই অপরাধী। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এদের খুঁজে বেরটা করবে কে? এ সময় প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সুবিধাভোগীদের তালিকা ও প্রমাণ জোগাড়ের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহŸান জানান। সরকারি চাকরিতে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে আরেক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যে অনিয়মগুলো করে রেখে গিয়েছিল, সেটিকে আবার সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলাম। ২০১৮ সালের পর থেকে আবার কিছুটা এরা ফাঁক পেয়ে যায়। কিন্তু বহু দিন থেকে পেছনে লেগে থেকে থেকে এখন ধরতে পেরেছি। ধরা পড়েছে, তদন্ত হবে, বিচার হবে।’ তিনি বলেন, আমি একটা কথা বলি, ২৪তম বিসিএস পরীক্ষা হয়েছিল ২০০২ বা ২০০৩ সালে। বিএনপি আমলে যত পরীক্ষা হতো আর যত চাকরি হতো-এটা কোনও পরীক্ষা-টরীক্ষা না। ওই হাওয়া ভবন থেকে তালিকা পাঠানো হতো আর সেই তালিকায়ই হতো।’ তিনি বলেন, সে সময় ঢাকা কলেজে পরীক্ষা হয় এবং একটা বিশেষ কামরা তাদের জন্য আলাদা রাখা হয়। যেখানে বসে তারা পরীক্ষা দিয়ে পাস করে চাকরিতে ঢোকে। তখন কোনও উচ্চবাচ্য নাই। এই যে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা এই অনিয়মগুলো তো তখন থেকেই শুরু। আমরা সরকারে আসার পর ২০০৯ সালে এই জিনিসটা সম্প‚র্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের পর কোটা আন্দোলন হওয়ার পর এই গ্রæপটা কী করে যেন আবার এখানে জায়গা করে ফেলে, যেটা এখন ধরা পড়েছে। অনেকে মনে করতে পারে, আওয়ামী লীগের সময় প্রশ্নফাঁস শুরু হয়েছে, তা ঠিক নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সময়ে শুরু হয়নি, শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। খালেদা জিয়ার আমলে আরও এক ধাপ বেশি। তখন তো তালিকা আসলো, সবকিছুর তালিকা এবং যা তালিকা ওটা মানতেই হবে, না মানলে কেউ জানে বেঁচে থাকতে পারবে না। এটা ছিল বাংলাদেশের অবস্থা, এটা ভুলে গেলে তো চলবে না।’ ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থা কী ছিল, প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কোনও কথা বলতে পারছে? কী অবস্থা ছিল? এই যে অনিয়মগুলো করে রেখে গেছিল, সেটিকে আবার সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলাম। ২০১৮ সালের পর থেকে আবার কিছুটা এরা ফাঁক পেয়ে যায়। কিন্তু সেগুলো বহু দিন থেকে পেছনে লেগে থেকে থেকে এখন ধরতে পেরেছি। ধরা পড়েছে, তদন্ত হবে, বিচার হবে।’
ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা: সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিল করার দাবিতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছেন, সেটা ভ্রান্ত ধারণার ওপর ভিত্তি করে চলছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের (বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের) মধ্যে ভ্রান্ত কিছু ধারণা আছে। সেগুলো আমি নোট করে রেখেছি। তাদের অবশ্য জানানোও হয়েছে। তারপরও তারা আন্দোলন চালাচ্ছেন, চালাতে থাকেন। টায়ার্ড (ক্লান্ত) হোক, তখন কিছু বলবো।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের যে দাবি ছিল, সেটা আমাদের পাঠিয়েছেন। তাদের ভুল ধারণা যে পেনশন ফান্ড আছে, আসলে ফান্ড নেই। তাদের টাকা থেকেই পেনশন দেওয়া হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম করে দিয়েছি সবার জন্য। এই যে সাংবাদিকরা, আজকে তাদের চাকরি না থাকলে কিছুই করার নেই। কীভাবে চলবে?’ তিনি বলেন, ‘বেতন নিয়েও তাদের ধারণা এতই বিভ্রান্তিকর যে বলার মতো না। আরেকটা হলো- কোন বছর থেকে প্রত্যয় স্কিম চালু হবে? ২০২৪ নাকি ২০২৫ সালের জুলাইয়ে। সেটাও আমরা ক্লিয়ার (স্পষ্ট) করে দিয়েছি।’
এটা আমেরিকার মতো জায়গায় হয় কী করে? যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নভেম্বরে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটা সত্যি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট, আর তার ওপর এই ধরনের হামলা করা আমরা এটার অবশ্যই নিন্দা জানাই। আমেরিকা তাদের গণতন্ত্র নিয়ে অনেক গর্ববোধ করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অথচ সেখানেই দেখা যাচ্ছে! আমরা তো গুলি-বোমা খেয়েই অভ্যস্ত, অনবরতই খাচ্ছি। সেখানে একজন অপোনেন্টকে এভাবে গুলি করা হলো। তারপর তিনি ফরমার প্রেসিডেন্ট, তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তার একেবারে কানের ওপর দিয়ে চলে গেছে। যদি একটু এদিক-ওদিক হতো বাঁচতো না। এটা আমেরিকার মতো জায়গায় হয় কী করে? তিনি বলেন, আমেরিকার মতো সভ্য দেশে, যারা গণতন্ত্র এত বড় প্রবক্তা, এত বড়-সেই দেশে এই ঘটনা ঘটবে কেন? সেটাও তো আমাদের একটা প্রশ্ন। এই ঘটনা বাংলাদেশে হলো তো সরকারকে দায়ী করতো। এক গ্রæপ সরকারকে দায়ী করতো, আরেক গ্রæপ, যেমন আমি গ্রেনেড হামলায়- আমি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে নিজেই মেরেছি, বলে দিলো। এখানে (বাংলাদেশে) বলার তো কোনও ইয়ে নাই, লাগাম ছাড়া তো। সেটিই হয়। কিন্তু ওরা (যুক্তরাষ্ট্রে) সরকারকে দায়ী করেনি, আবার প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এটার নিন্দা করেছেন। কাজেই এইটুকু সভ্যতা তাদের আছে। যাদের কথায় কথায় আমাদের দেশের দোষারোপ করার চিন্তা, তাদের ওখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
চীন-ভারত সফর নিয়ে তাঁরা এসব জেনে-বুঝে বলেন, না হেয় করতে বলেন: চীন ও ভারত সফর নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে ‘মানসিক অসুস্থতা’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে গেলাম দেশ বেচে এলাম, চীনে গেলাম খালি হাতে ফিরে এসেছি। তাঁরা এগুলো জেনে-বুঝে বলেন, নাকি আমাকে হেয় করতে বলেন, বুঝি না। এটা তাঁদের মানসিক অসুস্থতা।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চীন সফরে ২১টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সাতটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ- এই চারটি প্যাকেজের আওতায় চীন বাংলাদেশকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে। পিরোজপুরের কচা নদীর উপরে নবম ফ্রেন্ডশিপ সেতু করবে চীন। তারপরও সমালোচনাকারীরা সমালোচনা করছেন। সব সময় আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা, গুজব ছড়ায়। আমি গুরুত্ব দিই না। তাদের বলতে দিন।’ ভারতের পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন থেকে খালি হাতে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর থেকে নির্ধারিত সময়ের আগে ফিরে আসাতেও আলোচনা তৈরি করেছে। একজন সাংবাদিক এ প্রসঙ্গটি তুলে ধরলে, জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের অসুস্থ মেয়েকে রেখে চীন সফরে গিয়েছিলাম। অফিশিয়াল কাজ ১১ তারিখেই শেষ হয়ে যায়। বিকালে আসার কথা ছিল, সকালে চলে এসেছি। ছয় ঘণ্টায় এত বড় তোলপাড় হবে বুঝিনি। অফিশিয়াল কাজ শেষ হয়ে গেলে আগেও সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে এসেছি। আমার সেখানে বেড়ানোর, শপিং করার নেই। তাই আগেই চলে আসি। সেটাকে রংচং মাখিয়ে কথা বলছে।’ দেশের উন্নয়ন কাজের সমালোচনাকারীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেট্রোরেলে চড়ছে এটাও সর্বনাশ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে দ্রæত চলে যাচ্ছে সেটাও সর্বনাশ, গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে গেছে, এটাও সর্বনাশ। গ্রাম শহর হচ্ছে সেটাও সর্বনাশ। তারা চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক। তারা কান থাকতে বধির, চোখ থাকতে অন্ধ। মুখ আছে বলে যাক। আমি শুনলাম না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের দুঃখ গ্রেনেড হামলা করেছে মরি নাই। গুলি করেছে, মরি নাই। এটাই তাদের দুঃখ।’
চট করে দুর্নীতির সমস্যার সমাধান হবে না: প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট করে দুর্নীতির সমস্যার হবে না। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্ত জঞ্জাল সাফ করতে হচ্ছে। এর আগে জঙ্গিবাদ ঠিক করার কথা ছিল, সেটা আমরা করেছি। এখন দুর্নীতি, যেটা আমার জিরো টলারেন্স ঘোষণা আছে। আমরা ধরছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কঠোর হয়েছি বলেই (দুর্নীতিবাজরা) ধরা পড়ছে, এটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা খুঁজে বের করছি বলেই কিন্তু আপনারা জানতে পারছেন। খোঁজ না করলে তো জানা যেত না। এভাবেই চলত। কারণ এভাবেই চলছিল। সেই ৭৫ এর পর থেকেই এভাবে চলছে। এখন আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ তিনি বলেন, আমার দায়িত্বই হচ্ছে- যে সমস্ত অনিয়মগুলি আছে, সেটা ধরে একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে আসা, সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসা। সেটা আমরা করার পদক্ষেপ নিয়েছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। যখন ধরা পড়ে আমরা ব্যবস্থা নেই। এটা তো মানসিকতা। তিনি বলেন, আগে দুর্নীতি এমন পর্যায়ে ছিল, কাজই করা যেত না। সেখান থেকে পরিস্থিতি তো বদলেছে। নিচের দিক থেকে দুর্নীতি বেশি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি নিচের দিক থেকেই বেশি হচ্ছে, এটা হচ্ছে বাস্তবতা। উৎসমুখ, কোন জায়গায় কোন উৎসমুখ, কয়টা খুঁজবেন। এখানে কোন ড্রাইভার কত টাকা বানালো, কে কী টাকা বানালো! এখন ড্রাইভার লেভেলে যদি করে, সেটা খোঁজ করে বের করে আজ ধরছি বলেই জানতে পারছেন। এতকাল তো জানতে পারেননি।
তিস্তা প্রকল্প ভারত করলে ভালো হয়: শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিস্তা প্রজেক্টটা আমাদের করতে হবে। চীনও আমাদের কাছে কিছু অফার দিয়েছিল। তারা ফিজিলিবিটি স্টাডি করেছে। ইন্ডিয়াও আমাদের কাছে অফার দিয়েছে। ইন্ডিয়াও ফিজিবিলিটি স্টাডি করবে। এটা করার পরে, যেটা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত হবে, আমরা সেটা নেব।’ পরে অবশ্য শেখ হাসিনা ভারতের প্রস্তাবের পক্ষে থাকার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘চীন তো রেডি, কিন্তু আমি চাচ্ছি যে এটা ইন্ডিয়া করে দিক, এই প্রজেক্টটা করলে এই প্রজেক্টটার জন্য যা দরকার, ইন্ডিয়া দিতেই থাকবে। ঠিক আছে? যা সাফ সাফ কথা, রাখা ঢাকা নাই।’ ভারতের প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ তিস্তার পানিটা ইন্ডিয়াই আটকে রেখেছে, কাজেই তাদের কাছ থেকে আমাদের যদি আদায় করতে হয়, প্রজেক্টের কাজ তাদেরই করা উচিত। তারা প্রজেক্ট করে আমাদের যা প্রয়োজন তারা দেবে। এটা তো একটা ডিপ্লোমেসি। এখানে আর কোনো দ্বিধা থাকার তো কথা নয়।’ শেখ হাসিনা বলেন, চীন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের কাজ করবে। আমাদের দক্ষিণ অঞ্চল সব থেকে বেশি অবহেলিত, পদ্মার ওপার, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন কাজের জন্য আমি চীনকে বলেছি। সব থেকে অবহেলিত এবং ওখানকার কাজগুলো করা খুব কঠিন। পিরোজপুর যাওয়ার একটা নদী পেকুটিয়া, এটা দীর্ঘ দিনের একটা আকাক্সক্ষা, ওটাও চীন করে দেবে। এটার জন্য কোনো পয়সা লাগবে না, তারা করে দেবে। কাজেই আমি কাজ ভাগ করে দিয়েছি, কোথাকার কাজ কে করবে, কঠিন কাজ সহজে করতে পারব। সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়।
করোনাকালে সরকারি কেনাকাটার প্রসঙ্গে টেনে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সব জায়গায় দুর্নীতি তো এমন পর্যায়ে ছিল যে কোনও কাজই তো করা যেত না। সেখান থেকে ধীরে ধীরে আমরা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসছি। আর কোভিডের সময় বিষয়টা ছিল, কেনাকাটার যে নিয়ম যেমন টেন্ডার দেওয়া। এগুলো করতে গেলে তো রোগী বাঁচানো যেত না। তখন আমাদের কতগুলো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমি কী করলাম, বেক্সিমকোকে বললাম এত টাকা আগেই ডিপোজিট দিয়ে বুকিং দিতে হবে। এটা প্রাইভেট সেক্টর-প্রাইভেট সেক্টর দিলে সমস্যা নেই। টাকা আমি দিয়ে দিচ্ছি, তুমি বুকিং দাও। এভাবে বুকিং দেওয়ালাম। ভ্যাকসিন রাখার জন্য ফ্রিজার দরকার। ফ্রিজ কিনতে হবে। টেন্ডার দিয়ে কিনতে গেলে কত সময় লাগবে? সোজা অনলাইনে বুকিং দিয়ে কোথায় পাওয়া যায়। প্লেনে করে উঠায়ে নিয়ে আসবে। স্যানিটাইজারের বিরাট মেশিন। প্লেনে ধরে না। সেটা ভেঙে নিয়ে আসা হলো। আমি তো এভাবে কাজ করেছি। যদি দুর্নীতি ধরতে চান এসব জায়গায় দুর্নীতি ধরতে পারবেন, বলেন সরকারপ্রধান।
এটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়: দুর্নীতি কেবল বাংলাদেশের সমস্যা নয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটা শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়। সারা বিশ্বেই যে দেশটা অর্থনৈতিকভাবে উন্নত হয় সেখানে কিছু অনিয়ম কিছু লোকের হাতে চলে যায়। যারা অপাঙক্তেয় তাদের হাতে কিছু টাকা পয়সা চলে যায়। তারা বানায়। তারা তো অপেক্ষা করে থাকে।
কী কারণে হিরো হয়ে যায়, আর আমরা তো জিরো! সচিবালয়ের ফাইল চুরির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য জোগাড় করা এক জিনিস। আর ফাইল চুরি আরেক জিনিস। আমি ভ্যাকসিন কিনবো, আমার সেখানে নেগোসিয়েশন হচ্ছে, জরুরি পেপার। অফিসাররা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। ফাইলটা রেখে কেবল একটু বাইরে গেলো, অমনি আপনাদের স্বনামধন্য পত্রিকার এক সাংবাদিক ঢুকে সেই কাগজ চুরি করতে গেলো। অফিসার এসে ধরলো, সে সেটা নিয়ে বাথরুমে। সেখান থেকে ধরা হলো, সেটা ঢোকালেন তার শাড়ির ভেতরে। সেখান থেকে টেনে বের করা হলো। আর তা বিরাট অপরাধ হয়ে গেলো। সে যে ফাইল চুরি করতে গেলো এটা কোনও অপরাধ নয়। ফাইল চুরির জন্য পুরস্কারও পেলো। কোন বড় দেশ তাকে পুরস্কার দিয়ে দিলো। এটা কী দুর্নীতি? ডাকাতি? চুরি? কোনটা? কী ডেফিনেশন দেবেন বলেন আমাকে। এই ঘটনা তো ঘটে। এর আগে নৌপরিবহনে ঢুকেও এটা করেছে। পরে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়ে আসে। এরপর আরেক জায়গায়। হিরোইন হয়ে গেলো। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হয়ে গেলো। যাবো কোথায় বলেন! অথচ মিথ্যা ভুয়া রেকর্ড করে ছেড়ে দিচ্ছে। এর আগে একজন মিথ্যা পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ আনলো। পরে সেও পুরস্কার পেয়ে গেলো। এই যে কী কারণে হিরো হয়ে যায়! আর আমরা তো জিরো আছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেন, সারা বিশ্বে বড় বড় পত্রিকা-চ্যানেলের মালিক যারা বড়লোক তারাই হয়। সাধারণ মানুষ তো এটা চালাতে পারে না। তাদের ধরতে গেলে নানা কথা শুনতেও হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. আহসানুল ইসলাম টিটু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,100SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ