এনবিআরের দুই কর্মকর্তার বিপুল সম্পদ আলোচনায় আসার পর এবার ড. তাজুল ইসলাম নামে আরেক শুল্ক রেয়াত কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন জনৈক মেহেদী হাসান খান। গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। তাজুল ইসলাম শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন মেহেদী হাসান খান।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকার মেহেদী হাসান খান সংবাদ সম্মেলনে জানান, কাস্টমস কর্মকর্তা ড. তাজুল ইসলাম দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের দাতা সদস্য হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করছেন। এমনই একটি ফেসবুক পোস্টে আয়ের উৎস জানতে চেয়ে মন্তব্য করেছিলেন মেহেদী হাসান খান। এরপর থেকে তাকে নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রাণের ভয়ে গত চার মাস ধরে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাজুল ইসলামের বাড়িও ফুলবাড়িয়ায়। ফুলবাড়িয়া এলাকায় কয়েকশ বিঘা জমির মালিক কাস্টমসের এই কর্মকর্তা। স্থানীয় ভ‚মি অফিসে খোঁজ নিলেই যে কেউ এই তথ্য জানতে পারবে।
লিখিত বক্তব্যে মেহেদী হাসান খান বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে ও তার পিতা নায়েব আলী খানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন ড. তাজুল ইসলাম। তার হুমকির শিকার হয়েছেন আরও একাধিক ব্যক্তি। গত ২৭ ফেব্রæয়ারি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করার পর তাজুল ইসলাম নোঙ্গর কমিউনিটি সেন্টার ও তার গ্রামের বাড়িতে অর্ধ শতাধিক লোক পাঠান।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, ড. তাজুল সরকারি চাকরিজীবী হয়েও প্রকাশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিটিংয়ে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছেন। যা সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা ডোনেশন দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ মেহেদী হাসান খানের। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য থাকা অবস্থায় ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ঢাকায় তার একাধিক ফ্ল্যাট ও গাড়ি রয়েছে। তাজুলের দুর্নীতির অনুসন্ধান ও অন্যান্য কর্মকান্ডের তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই ভ‚ক্তভোগী।