মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইসে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে একটি অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সোমবার সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান।
অনলাইন জুয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, অনলাইন জুয়ায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলে- মেয়েরা যুক্ত হয়েছেন। এমনকি অনেক বয়স্ক, রিটায়ার্ড পারসনরাও এর মধ্যে আসছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এ অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে বন্ধ করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন, আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়।
এ পর্যন্ত কতগুলো জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে জানতে চাইলে পলক বলেন, আমরা মোট দুই হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত বন্ধ করছি। এটা চলতে থাকবে।
জুয়ার সাইট বন্ধ করছেন, তারা আবার অন্যভাবে খুলছে এ বিষয়ে পলক বলেন, সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে বসেছিলাম। আমরা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি এবং সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি- সবাইকে নিয়ে বসেছিলাম। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, পুলিশ এবং ইন্টেলিজেন্স, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি।
আরও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা কন্টিনিউয়াসলি এটা আমরা বন্ধ করতে থাকবো। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা বন্ধ করার চেষ্টা করছি।
ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে স্যাটেলাইট তৈরি করবে ঃ
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) সঙ্গে বাংলাদেশ যৌথভাবে একটি স্যাটেলাইট তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফর সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুটি বিষয় ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো ভিশন পার্টনারশিপ ডকুমেন্টস ফর ডিজিটাল পার্টনারশিপ। যেটা ভারতের আছে ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’। তাদের উন্নত, উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া। আর প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ হওয়া। এর জন্য কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবো, সেজন্য একটা ভিশন ডিজিটাল পার্টনারশিপ ডকুমেন্টস, একটা নতুন ধরনের বড় পরিধির ভিশন সাইন করেছি।’
ইসরো সঙ্গে স্যাটেলাইট তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের যে ইসরো আছে- স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, যেটা বেশ ভালো করছে এবং চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদেও অবতরণ করেছে। তাদের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে একটা স্মল স্যাটেলাইট তৈরি করবো। যেখানে ওরা প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতো অনুদান দেবে। আর আমাদের প্রায় ৫০ জন ছেলে মেয়েকে এখানে (স্যাটেলাইট তৈরি) ব্যবহার করবো যারা ইসরো ভিজিট করবে, তাদের বিজনেস উইংয়ের সঙ্গে কাজ করবে, গবেষণার কাজ করবে এবং ওদের কিছু স্যাটেলাইটের কনস্ট্রাকশন ডিজাইন আমরা যৌথভাবে করবো। ওই স্যাটেলাইটটি হবে আর্থ অবজারভেটরি জিও স্পেশাল স্যাটেলাইট। যার মেয়াদ থাকবে ৫-৬ বছর।