প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সোমবার দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। গণভবনে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সোমবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোড়ে অবস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ফলম‚ল এবং মিষ্টান্ন হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ.বি.এম. সরওয়ার-ই-আলম সরকার মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এর বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রেরিত ফলম‚ল ও মিষ্টান্ন মুক্তিযোদ্ধাগণের হাতে তুলে দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রধানমন্ত্রীর দ‚রদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধারা ম‚ল্যায়ন তো করেনি বরং নানভাবে তাঁদের হয়রানি করেছে এবং অসম্মানিত করেছে। এটা করেই স্বৈরশাসকরা থেমে যায়নি। তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে এদেশের গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছেন। সেই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মানের স্থানে আসীন করেছেন। তারা বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তারা সবচেয়ে সন্তুষ্ট আছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স‚র্য সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতি¤্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সবকিছুই প‚র্ণ করেছেন। সামনের দিনগুলোতে তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।