কাগজে-কলমে, শক্তি সামর্থ্যে কিংবা অভিজ্ঞতা যে দিকটাই হিসাব করা হোক না কেনো আফগানিস্তানের তুলনায় এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ডই। তবে সব পরিসংখ্যান ছাঁপিয়ে বø্যাক ক্যাপসদের গুড়িয়ে বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা। সেইসঙ্গে টানা দুই জয় নিয়ে শেষ আটে টিকে থাকার দৌড়ে ভালোভাবে এগিয়ে থাকল রশিদ খানের দল। এছাড়াও এই জয়কে ২০২১ সালের মধূর প্রতিশোধও বলা যায়। কেননা সেই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়েছিলো কিউইরা। এবার কিউদের ৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারায় আফগানরা। এই ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে বল হাতে আলো ছড়ায় ফজলে হক ফারুকী ও অধিনায়ক রশিদ খান। এই দুই বোলারই ১৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট করে।
গেল পরশু রাতে গ্রæপ ‘সি’ এর ম্যাচে গায়ানা জাতীয় স্টেডিয়ামে নামে নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। এই ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৫৯ রান তোলে আফগানরা। দলটির হয়ে ৫৬ বল খেলে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন ওপেনার রহমতুল্লাহ গুলবাজ। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭৫ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রান। এরআগে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
এরআগে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মঞ্চে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। তবে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের শুরুর আসর গুলোতে আলো ছড়াতে না পারলেও ২০১৬- অনুষ্ঠিত হওয়া আসরে প্রথমবারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দেখা পায় রশিদ-নবীরা। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়ান্ট কিলার হিসেবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বড় বড় দলগুলোর মনে। এরপর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। যদিও সবশেষ ২০২২ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি দলটি। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে যেন রীতিমত উড়ছে আফগানরা। প্রথম ম্যাচে উগান্ডাকে হারানোর পর এবার বিশ্বকাপের ফেভারিট নিউজিল্যন্ডকেও গুড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
এমন ঐতিহাসিক জয়ের পর আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘বড় দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। এটি একটি দুর্দান্ত দলীয় প্রচেষ্টা। এই উইকেটে খেলা সগজ ছিল না। তবে ইব্রাহিম ও গুলবাজ ভালো ভাবে শুরু করেছিল। আফগানিস্তানের এই দলকে নেতৃত্ব দেয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়লাভ করা এটি একটি সৌভাগ্যের বিষয়।’