spot_img

‘বীর নিবাস’ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, স্বপ্নেরবাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় মুক্তিযোদ্ধারা

নীলফামারীর ডিমলায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও বীর শহীদদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের ২২টি বাড়ি নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ঠিকাদারের সিডিউল মোতাবেক কাজ না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও সময় পার হলেও কাজ বন্ধ রাখাসহ নানান অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, আমরা যেসব অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলোর সমাধান দিচ্ছি। ভবিষ্যতে পেলেও সমাধান দেব। পুরোপুরি সমাধান না করে বাড়ি হস্তান্তর করবো না বলে জানান তিনি।
সরেজমিনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গিয়ে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা জগৎ চন্দ্রের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই বছর আগে ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের আওতায় তার জমিতে বাড়ির কাজে হাত দেয়া হয়। তবে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার বন্ধ করে দেন নির্মাণ কাজ। এতে থমকে গেছে মুক্তিযোদ্ধার পাকা বাড়ির স্বপ্ন।
জানা যায়, ডিমলায় এই প্রকল্পের আওতায় ২০২২-এ ১০টি ও ২০২৩ এর জুনের মধ্যে ২২টি বাড়ি নির্মাণের কথা ছিল। তবে সে কাজ পুরোপুরি শেষ না করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা জানান, নির্মিত বেশির ভাগ বাড়ির দরজা-জানালা-গ্রিল লাগানো হয়নি। যেগুলোতে হয়েছে তাও নিম্নমানের। সিডিউল মোতাবেক কাজ না করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে অনেক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ঠিকাদারের দেখাও মিলছে না। প্রায় আড়াই বছর ধরে কাজ বন্ধ আছে। বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে।
নীলফামারী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী বলেন, নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা আরও বলেন, যে অভিযোগ আসছে, সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনো অভিযোগ আসলে ঠিকাদারের মাধ্যমে আবারও সংশোধন করা হবে। তারপর হস্তান্তর করা হবে। ৭৩২ স্কয়ার ফুটের প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,100SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ