এবারের বাজেটে সংস্কৃতি খাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বিগত অর্থবছরের তুলনায় এই বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় বাজেট বক্তৃতা ২০২৪-২৫’ এ এই বরাদ্দ ঘোষণা করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দের হার মোট বাজেটের মাত্র শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ।
বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ (৬৯৯ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল সংস্কৃতি খাতে। আগের দুই বাজেটেও বরাদ্দের হারে একই ধারাবাহিকতা ছিল। গত ১৫ বছরের মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ ছিল সর্বোচ্চ দশমিক ১৬ শতাংশ। তখনকার বাজেটের অনুপাতে টাকার পরিমাণ ছিল ২১৪ কোটি।
তবে সংস্কৃতিকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি, এই খাতের উন্নয়ন করতে হলে জাতীয় বাজেটের ন্যূনতম ১ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আমরা চাই সংস্কৃতি খাতে আরো বেশি বাজেট বাড়–ক, লোকবল নিয়োগ হোক। যেসব দলগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়েছে তারা ন্যূনতম অনুদান পাক। এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে সংস্কৃতির যে ধ্বস নেমেছে সে ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হোক। কিন্তু বাজেটটা কিভাবে ব্যয় হবে তা আমাদের মতো সাধারন মানুষের জানার ক্ষমতা নেই। যে প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ব্যয় করে তাদেরকে সতর্কতার সাথে ব্যয় করতে হবে। তবে সরকারের কাছে আমাদের বাজেট বাড়ানোর চাপ সবসময়ই থাকবে। সেই সাথে এটাও সত্যি যে, সরকারি বাজেট দিয়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন হয় না। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথ ভিন্ন। সে পথটা সংস্কৃতি কর্মীদের খোলা থাকা দরকার। এক সময় রাস্তা, ঘাটে, গ্রামে-গঞ্জে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেমন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড করতাম, যা আন্দোলনে রূপ পেতো। সেটা করতে হবে।