ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে বিপর্যস্ত উপক‚লীয় এলাকা। সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলো এখনো পানিবন্দি। একই ঝড়ে নগরজীবনও বিপাকে। এই রুষ্ট প্রকৃতিকে শান্ত করতে শাস্ত্রীয় সংগীত ও নৃত্যে প্রকৃতির রূপ বন্দনা করলেন শিল্পীরা।
গতকাল মঙ্গলবার একাডেমির প্রধান মিলনায়তনে উৎসবের তৃতীয় সন্ধ্যায় এদিন আয়োজনের শুরুতে রাগনির্ভর সমবেত সংগীতে বাংলার ষড়ঋতুর রূপবৈচিত্র্য তুলে ধরেন অষ্টপ্রহরের শিল্পীরা। শহিদুজ্জামাম স্বপনের কথা ও সুরে এর সংগীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়। আয়োজনের সংগীত-পর্বে মীরাজুল জান্নাত সোনিয়া পরিবেশন করেন রাগ ‘মুলতিনি’। বিশ্বজিৎ জোদ্দার শোনান রাগ ‘বেহাগ’। চন্দ্র সাহা পরিবেশন করেন রাগ ‘কেদার’। টিংকু শীল পরিবেশন করেন রাগ ‘ভীন্ন ষড়জ’। সৌমিতা বৌস পরিবেশন করেন রাগ ‘মালকোষ’। ইয়াকুব আলী খান পরিবেশন করেন রাগ দরবারী।
মণিপুরী এবং ওড়িশী নৃত্যের যুগলবন্দী পরিবেশনায় নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র পরিবেশন করে ‘তান্ডব- লাস্য’। সাত মাত্রার তেওড়া তালে আধারিত ‘তান্ডব- লাস্য’ নৃত্য প্রযোজনাটি প্রতিযোগিতামূলক আঙ্গিকে পরিবেশিত হয়। তেওড়া তালে ‘তান্ডব- লাস্য’ রচনা করেছেন গুরু বিপিন সিংহ। ওড়িশী নৃত্য ভঙ্গি সংযোজন করেছেন তামান্না রহমান। ‘তান্ডব’ পরিবেশনায় ছিলেন- মাহমুদুল হাসান রিপন, ঐন্দ্রিলা আকতার বীথি, নূরবানু মুক্তা এবং আরিবা ইবনাত ছোঁয়া। মণিপুরীতে ‘লাস্য’ অংশে মানোমী তানজানা অর্থী এবং ওড়িশী নৃত্যে তামান্না রহমান পারফর্ম করেন।
কথকে তাল দীপচন্ডীতে ‘কৃষ্ণ বর্ণন’ পরিবেশন করেন ফিফা চাকমা। কথকে ধ্রæপদ পরিবেশন করেন মো. হানিফ। ‘সাংকারা আতি প্রাচান্দ্র’ শিরোনামের এই নৃত্য প্রযোজনাটি তাল চৌতালে নিবদ্ধ। কত্থকে ঐশী দাস একা পরিবেশন করবেন শুদ্ধ নৃত্য তিনতাল এবং বিন্দাদীন মহারাজজীর রচিত ঠুমরী।
নৃত্য পর্বে শাস্ত্রীয় নৃত্য কথক পরিবেশনায় নৃত্যাঞ্চল মঞ্চস্থ করে ‘কৃষ্ণ বন্দনা’ এবং ‘তারানা’। রাগ হংসধ্বনি, তাল একতালিতে বেনজীর সালামের দল নৃত্যছন্দ শাস্ত্রীয় নৃত্য ওড়িশি পরিবেশনায় মঞ্চস্থ করে ‘হংসধ্বনি পল্লবী’। তাল ত্রিতাল ও রাগ মালকোষে কথক নৃত্য স¤প্রদায় পরিবেশন করে ‘তারানা’। ঠাট, আমোদ, তেহাই, টুকরা, পড়ন, সরগম ও লাড়ি- কথকের নানা আঙ্গিকে নির্মিত হয়েছে এই নৃত্য প্রযোজনা। প্রথমে বিলম্বিত লয়ে শুরু হয়ে শেষে দ্রæত লয়ে শেষ হয় এ পরিবেশনা।