সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ আনা
হয়েছে উৎস গাইন নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার
বায়োলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারের একটি গ্রæপে উৎস গাইন মুহাম্মদ (সাঃ) কে
নিয়ে কট‚ক্তিযুক্ত একটি মেসেজ করেন। যা সাথে সাথেই রিমুভও করেন। এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছড়িয়ে পড়লে রবিবার (২৬ মে) বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউমার্কেটের একটি দোকানে
উৎস গাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং মৌখিক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে
উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন এবং প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে যান।
সন্ধ্যায় প্রক্টর দপ্তরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী লিখিত স্বীকারোক্তি দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত
শিক্ষার্থীকে আরেক দফা মারধর করেন।
পরবর্তীতে প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামান অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের নিকট
সোপর্দ করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর শারীরিক আঘাত বেশি হওয়াতে প্রথমে তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি
করে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব না হলে তাকে খুলনা মেডিকেল
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত
চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
এদিকে রাতে ক্যা¤পাসে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা উৎস গাইনের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
উক্ত মিছিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন
বহিষ্কারের দাবিও জানান।
সর্বশেষ খবরে জানা যায় রাতেই পুলিশ প্রহরায় জ্ঞানহীন অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা থেকে
ঢাকায় নেওয়া হয় উৎস গাইনকে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন
তিনি। সেখানে তার সিটি স্ক্যান করা হলে, ডাক্তার রিপোর্ট পজেটিভ বলেছেন। জ্ঞানও ফিরেছে তার