রেমালের দমকা বাতাসে ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে লালচাঁদ মোড়ল (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এছাড়া বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা সদরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ঘূর্èিঝড়ের কারণে গত রবিবার রাত থেকে খুলনা জেলা সদরসহ উপক‚লীয় এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে রযেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার গাওঘরা গ্রামের মৃত গওহর আলী মোড়লের ছেলে লালচাঁদ ভাত খেয়ে বাড়ির একটি ঘরে ঘুমাতে যায়। গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দমকা বাতাসে জামগাছ ভেঙে তার ঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘরের টিনের চাল ভেঙে সে চাপা পড়ে। গতকাল সোমবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের চাল কেটে তার লাশ উদ্ধার করে। বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেন। এদিকে ঘূর্ণি ঝড় রেমালে সৃষ্ট জলোচ্ছ¡াসে বেড়িবাঁধ উপচে বটিয়াঘাটা বাজার এবং বাঁধ ভেঙে উপজেলার বারোয়ারিরা বাজার ও পুলিশ ক্যা¤প প্লাবিত হয়েছে । এছাড়া বরইতলা নামক স্থানে বাঁধভেঙ্গে এবং জলমা ইউনিয়নের কচুবুনিয়া বাঁধভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
অপরদিকে কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বাঁধভেঙ্গে দশালিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া জলোচ্ছ¡াসে বাঁধ উপচে দাকোপ উপজেলার পানখালী, বটবুনিয়া বটবুনিয়া, কালাবগি ও উপজেলা সদর চালনা বাজার প্লাবিত হয়েছে।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য রশীদুজ্জামান মোড়ল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার বেশ কয়েকটি জায়গার বাঁধভেঙ্গে গিয়ে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বহু গাছপালা ভেঙে গেছে।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের-২ নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, দাকোপ উপজেলার বটবুনিয়া, খলিসা, কামিনিবাসী ও কয়রা উপজেলার দশালিয়াসহ বেশ কয়েকটি জায়গার বেড়িবাঁধ ভেঙে ও জলোচ্ছ¡াসে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।