রাজধানীর আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের উত্তরাধিকার এতিম সন্তানকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন দুই সন্তানের মা ফারজানা হক লিমা। এ সময় দুই সন্তান সৈয়দ শাহ ফারহাদ উল্লাহ ইয়াসিন (১৫) ও সৈয়দা তানজিয়া বেগম ত্রশী (২১) উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে লিমা বলেন, আজিমপুর বড় দায়রা শরীফের মোতয়াল্লি তার শ্বশুর মৃত সৈয়দ শাহ ফজলুল্লাহ’র চার ছেলে ও দুই মেয়ে। চার ছেলের মধ্যে সৈয়দ শাহ বারাতুল্লাহ রজতুলা ওরফে তানভির তার স্বামী। তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে তিন ভাইয়ের কোনো সন্তান নেই। সৈয়দ শাহ ফরহাদ উল্লাহ ইয়াসিন তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার ভাসুর ও ননদরা। সম্পত্তি থেকে তাকে বিতাড়িত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে তারা। এর মধ্যে তার স্বামী তানভীর মারা যান। এরপরই দুই সন্তানসহ তার ওপর নির্যাতন শুরু করে এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ডিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করা হলে তিনি লালবাগের তৎকালীন ডিসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে পুলিশ বাড়িসহ অন্যান্য প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।
ভ‚ক্তভোগী লিমা বলেন, গত ১০ মাস ধরে কোনো ঝামেলা হয়নি। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তাগণ বদলি হয়ে গেলে শুরু হয় আবারও নির্যাতন। গত ২৯ এপ্রিল আসামী আরফানা বেগম, আরিফুল ইসলাম সিফাত, জহিরুল ইসলাম বাচ্চু, ফজিলাতুন্নেসা তন্নী, আফসারী বেগম, আজগারী বেগম, মোস্তারি বেগম, এনাম উল্লাহ জোহায়ের, আসেম বিল্লাহ সোহেল, হুজাফফার, ইস্কানদার, রহমত, মাহফুজাসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন লালবাগ থানার এসআই রাজিবের সামনে তাকে বেধড়ক মারধর করে। আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও তারা এতিম দুই সন্তানসহ তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। স্বামীর অবর্তমানে যে বাড়ি ভাড়ার টাকা দিয়ে সংসার চালাতাম পুলিশের সহযোগিতায় সেই ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে আসামীরা। এখন স্কুল-ইউনিভার্সিটি পড়–য়া দুই সন্তান নিয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও ডিএমপি কমিশনারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।