সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে প্রিসাইডিং অফিসারদের নিয়ে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে যাওয়ায় শিক্ষক নেতা আমিনুর ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুনর রশিদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
আমিনুর ইসলাম সদর উপজেলার শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আমিনুর ইসলামের নামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আমিনুর ইসলাম গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস পার্ট-১ এর বিধি ৭৩ এর নোট (২) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস মেমোরেন্ডাম নং ঊউ (জবম)-ঠ১)/ং-১২৩/৭৮/১১৫(৫০০) তারিখ: ২১ নভেম্বর ১৯৭৮ অনুযায়ী তাকে ৬ মে থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
গত ৫ মে রাতে সদর উপজেলার কাদাই এলাকার গার্ডেন প্যালেস রিসোর্টে উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে কয়েকজন তালিকাভুক্ত প্রিসাইডিং অফিসার গোপন বৈঠক করছেন-এমন খবরে সেখানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও নির্বাচন অফিস যৌথ অভিযান চালায়। তবে ওই দিন ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়া গেলেও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে আনা হয়। পরদিন ৬ মে পাঁচ প্রিসাইাডিং কর্মকর্তাসহ বৈঠকের মূল সমন্বয়ক শিক্ষক আমিনূর ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর রাতে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন রিটানিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।