বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পল্লীতে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে যাওয়ার সড়কের পাশের ১০টি ফলজ গাছ কাটা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন তাঁর বাড়ির সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য এই গাছ গুলি কেটে ফেলেছেন। সরকারি সড়কের গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় ১২ মে মধ্যরাতে ইউএনও অফিসের নায়েব আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ওই বিএনপি নেতা ও তার চাচার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামে বুরুজ ভিটাপাড়া সড়কের মাথায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমনের বাড়ি। দূর থেকে ওই নেতার হেলিপ্যাডসহ বিলাসবহুল বহুতল বাড়ির আলোকসজ্জা দেখা যায়না। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিয়ে সুমনের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিলো সড়কের গাছগুলো। এজন্য দলবল নিয়ে গত শনিবার দুপুরে ১০টি গাছ কেটে ফেলেছেন সুমন। গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে গ্রামবাসীদের হেনস্তাও করা হয়। অভিযুক্ত আহম্মেদ সুমন গাবতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নেপালতলী ইউনিয়নের শাহাবাজপুর কালুডাঙ্গা গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি দুর্বা গ্রæপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় বিশ বছর আগে ওই সড়কে নিজ বাড়ির সামনে স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান প্রামানিক দশটি ফলজ গাছ রোপণ করেছিলেন। বছর পাঁচেক আগে গাছগুলো রেখেই বিএনপি নেতা সুমনের বাড়ি পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেয় এলজিইডি।
স্কুল শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, গেলো বেশ কিছুদিন ধরেই গাছগুলো কেটে ফেলতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলো সুমন । শনিবার দুপুরে বহিরাগতদের সাথে নিয়ে গাছগুলো কেটে ফেলে রেখে চলে যান তিনি।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা আহম্মেদ সুমন বলেন, গ্রামের ওই সড়কটি আমার বাবা হারুনুর রশিদ মাষ্টারের নামে করা। সড়কটি সংস্কার ও প্রসস্থ করতে একটি বরাদ্দ এসেছে। তাই সড়ক সংস্কারের জন্য গ্রামবাসীরা গাছগুলো কেটেছেন। আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে বহিরাগতদের নিয়ে আসার অভিযোগ সঠিক নয়।
গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গাছগুলো যেহেতু সড়কের ধারে ছিল তাই এর মালিকানাও সরকারের। এজন্য ইউএনও অফিসের নায়েব বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গাছগুলো সেখানে ইউপি সদস্যর জিম্মায় রাখা হয়েছে।