চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে মানিকগঞ্জের আকাশ-বাতাস। ছেলে কে হারিয়ে নির্বাক ডা: আমান উল্লাহ ও নিলুফা আক্তার খানম দম্পতি।
শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে মানিকগঞ্জ শহীদ মিরাজ তপন স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে আসিম জাওয়াদের মরদেহ আনা হয়েছে। সেখানে সর্বস্তরের উপস্থিতিতে মাঠে আসিমের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর পর মানিকগঞ্জ শহরে সেওতা কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট মুহাম্মদ
আসিম জাওয়াদ নিহত হয়েছে।
নিহত পাইলট মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৯২ সালে ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ডাঃ মোঃ আমান উল্লাহ এবং মাতার নীলুফা আক্তার খানম। তিনি ২০০৭ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি,২০০৯ সালে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ থেকে বিএসসি (এ্যারো) পাশ করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি স্কোয়াড্রন লীডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ সালের ০১ ডিসেম্বর ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।