সড়কে রোডক্র্যাশ কমাতে ও অকাল মৃত্যু ঠেকাতে মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। একই সাথে এই নির্দেশিকার যথাযথ বাস্তবায়ন ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
সংগঠনটি আরও জানায়, দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ দ্রæত ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। পাশাপাশি মোটর সাইকেলের অনিয়ন্ত্রিত গতি প্রতিনিয়ত দেশের কর্মক্ষম তরুণসহ অনেকের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। এমতাবস্থায়, রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি নির্দেশনার দাবি করে আসছিল।
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ আশা করে যে, সরকার এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই নির্দেশিকাটি বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্ঘটনা এবং সড়কে অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বিশেষ করে সড়কে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ঝুঁকিপূর্ণ পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আবার নির্দেশিকার কিছু বিষয়ে বিশেষ করে মোটরসাইকেলের গতি সীমা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রামাঞ্চল ও শহরের জন্য মোটরসাইকেলের গতি সীমা নির্ধারণ করায় সড়কে চলাচলের জন্য শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা উপকৃত হবেন। আবার মোটরসাইকেলের গতি কম থাকার ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেও হতাহত কম হবে। এছাড়াও গতি কম থাকার ফলে মোটরসাইকেলের কন্ট্রোলিং- এ বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে, যা অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা করবে।