ইসলামী ব্যাংকসহ তিনটি ব্যাংকের ঋণ বিতরণে অনিয়মের প্রশ্নে জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। স্বত:প্রণোদিত হয়ে দুই বছর আগে জারি করা এই রুল গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ। তবে হাইকোর্ট বলেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) চাইলে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে। আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এস. আলম গ্রæপের কৌসুলি অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
এর আগে চট্টগ্রামভিত্তিক শীর্ষ শিল্প গ্রæপ এস. আলমের অর্থ পাঁচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের প্রশ্নে হাইকোর্টের জারিকৃত স্বত:প্রণোদিত রুল খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছিলো, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) চাইলে এ ধরনের অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ গত ৫ ফেব্রæয়ারি এই আদেশ দেন।
ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে গত ২৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে দুটি ইংরেজী দৈনিকে ‘ইসলামী ব্যাংকের ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণের তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক’ এবং ‘এস আলম গ্রæপ একাই আইবিবিএল থেকে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ঋণ তুলেছে’ শিরোনামে ৩০ নভেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো হাইকোর্টের নজরে আসার পরই ঋণ বিতরণে অনিয়ম প্রশ্নে রুল জারি করে। একইসঙ্গে প্রতিবেদনে যে অভিযোগ উঠেছে তা অনুসন্ধানেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে বক্তব্য পেশ করে এসআলম গ্রæপ। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালে একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন।