রাজধানীর দক্ষিণখানে ছুরিকাঘাতে হযরত আলী (২৪) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। উত্তরার আজমপুরে একটি স’মিলে কাজ করতেন তিনি। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণখান গাওয়াইর বাজারের পাশে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে কোন এক বিষয় নিয়ে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের সঙ্গে হাতাহাতি হয় হযরত আলীর। সেই ঘটনার জেরে সোমবার সকালে হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে সেলিম। তবে হযরত আলীও মাদক সেবন করতেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিহত হযরত আলী ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চৌদার গ্রামের রাজমিস্ত্রী আব্দুর রশিদের ছেলে। পরিবারের সঙ্গে গাওয়াইর কলিল বক্স রোড এলাকায় থাকতেন। অবিবাহিত ছিলেন হযরত আলী।
হাসপাতালে মৃত হযরত আলীর বড় ভাই মো. আসাদুল জামান জানান, হযরত আজমপুর এলাকায় একটি স’মিলে কাজ করত। সকাল ১০টার দিকে তিনি খবর পাই, গাওয়াইর বাজারের পিছনে তাকে মাদক ব্যবসায়ী সেলিম (৩৫) এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে আহত হযরতকে দেখতে পান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে এনে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন দুপুরে তিনি মারা যান।
হযরতের আরেক ভাই মো. মিন্টু বলেন, সেলিম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সকালে এই ঘটনার পর আমরা লোকমুখে শুনতে পেরেছি, রবিবার দিবাগত রাতে সেলিম ও হযরতের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিলো। তার জের ধরেই সকালে সেলিম তাকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করেছে। তবে হযরত আলীও গাজা সেবন করতেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর খান জানান, সকালে গাওয়াইর এলাকার দুই যুবকের মধ্যে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় ছুরিকাহত হযরত আলী নামে এক যুবক মারা গেছেন। অভিযুক্ত সেলিম এখন পলাতক রয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা পক্রিয়াধীন। তবে কিসের দ্ব›েদ্ব এই হত্যাকান্ড, তা এখনও জানা যায়নি। সেলিমকে গ্রেফতারের পরই বিস্তারিত জানা যাবে।