কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে হল ছাড়েননি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী হল ছাড়েননি। তবে শিক্ষকদের সাথে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে শ্রেণি ও পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন তারা। আন্দোলন স্থগিত করায় গতকাল চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়কে অবরোধ হয়নি। এ কারণে সড়কে যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের এবং শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় চুয়েট প্রশাসন। চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ নির্দেশনার পর আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের কার্যালয়ের পাশাপাশি সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। পরে বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ২০ সদস্যের ছাত্রদের প্রতিনিধি। সভায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক, চুয়েট হাসপাতালকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করাসহ ১০ দাবি বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। পাশাপাশি চুয়েট এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষকরা ছাত্রদের ১০ দফা দাবির সবগুলো মেনে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, চুয়েটের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে। তবে কেউ হল ত্যাগ করেনি। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে শিক্ষার্থীরা বলেছেন তারা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে চায়। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য শুক্রবার বিকালে সিÐিকেট সভার আহŸান করেছে। সিন্ডিকেট বৈঠক শেষে কী সিদ্ধান্ত আসছে তা জানা যাবে।