প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফরে গতকাল ব্যাংকক পৌঁছালে তাঁকে লাল গালিচা উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮ মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাঁকে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।
এর আগে দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক সফরের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সরকারি সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল তাঁর সফরের সময় শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষে পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাবেন এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। একই দিন শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই সময় দু’নেতা নথি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন এবং যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমল-লক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সাথে থাকবেন। ব্যাপক ব্যস্ততার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে যোগদান করবেন এবং ভাষণ দেবেন। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।