spot_img

সক্রিয়ভাবে দুর্নীতি মোকাবিলা করা জরুরি: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতির মতো বিষয়ে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করছে। এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো- সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবিলা করা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ‘সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনাইটেড স্টেটস্ এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদনের (গেøাবাল ফ্রিডমের অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট) ফলাফল জানাতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দূতাবাস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই থিঙ্ক ট্যাংকের উপাত্ত স্পষ্ট। তা হলো- মৌলিক স্বাধীনতার জোরদারকরণ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এই প্রতিবেদনের স্বাধীনতা সূচকে অন্তর্ভুক্ত আছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি উপাদান। স্বাধীনতা সূচকে ২২ বছর ধরে বাংলাদেশের অবনতি হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম।
অনুষ্ঠানে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, শিক্ষাবিধ এবং থিঙ্ক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসন বিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ এবং ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে।
স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দুটি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরণ অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ ক্যাটাগরিতে।
মূল উপস্থাপনায় লেমোইন বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে- সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানাতে পারে। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উলে­খযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
22,100SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ