রাজধানীর পল্লবীতে পাভেল খান (৩২) নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পল্লবীর সাগুফতা মোড় সংলগ্ন সেকশন-৯ এর স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার ভেতরে ১৭ নম্বর নির্মাণাধীন ভবনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের শরীরসহ মাথার বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পল্লবীর পাঁচতলা বাজার এলাকায় পাভেল তার মা পারুলা বেগমের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। নেত্রকোনার বারইহাট্টা থানার আলোকদিয়া গ্রামে তার বাড়ি। গতকাল দুপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি অপূর্ব হাসান ধারণা করছেন, পূর্ব শত্রæতার জেরে প্রতিপক্ষরা পাভেলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পাভেল পল্লবীতে তার মায়ের সঙ্গে মাঝে মধ্যে থাকতেন। তিনি বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। তবে ঘটনার দিন রবিবার কেন তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তবে পল্লবীর পাঁচতলা বাজার এলাকায় কতিপয় যুবকের সঙ্গে তিন মাস আগে একবার মারামারি হয়েছিল। সেটার জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে মামলার বাদীর কাছ থেকে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
হাতিরঝিল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঃ
হাতিরঝিলের পানি থেকে ফয়েজ কাদের চৌধুরী (২৩) নামে এক যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পিতার নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী। পারিবারিক সূত্র জানায়, ফয়েজ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার বাড়ি শাহজাহানপুর এলাকায়। তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হাতিরঝিল থানার ওসি আওলাদ হোসেন বলেন, রবিবার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে ফয়েজ বাসা থেকে বের হয়ে যান। এরপর সারারাত তার কোন খোঁজ খবর ছিল না। সকালে হাতিরঝিলের পানিতে মরদেহটি ভাসতে দেখে পুলিশ উদ্ধার করে। পরে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।