ঈদকে সামনে রেখে ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরার কারণে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলা এবং ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের ১৭টি জেলার যানবাহন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মহানগর থেকে বের হচ্ছে ও প্রবেশ করছে। রাস্তার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি গাড়ি চলাচল ও ট্রাফিক আইন মান্য না করা প্রবণতার কারণে অসহনীয় যানজট সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের কনস্টেবল থেকে সার্জেন্ট পর্যন্ত এবং পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) থেকে উপকমিশনার পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১৮ ঘণ্টার মতো রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে যানজট নিরসন করার চেষ্টা করছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, কর্মকর্তারা কয়েক ঘণ্টার জন্য মধ্যরাত থেকে বিশ্রামে চলে যায় যদিও কনস্টেবল থেকে সার্জেন্ট পর্যন্ত শিফটিং ডিউটি থাকে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঠে উপস্থিত থাকলে ফোর্সের মনোবল চাঙ্গা হয়। রাতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ছদ্মবেশে গাড়িতে করে ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগের রাত্রিকালীন কর্মকান্ড পর্যবেক্ষন করেন। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সদস্যরা জনগণকে স্বস্থি নিয়ে ঘরে ফিরতে মাঠে কাজ করছে।