সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ বেড়ে গেছে ডাকাতির ঘটনা। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারে বড় স্থাপনাগুলোতে ডাকাতির টার্গেট করা হচ্ছে। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা বাজার ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে কেএনএফের ডাকাতি ও অপহরণের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর। এর পাশাপাশি মঙ্গলবার কুষ্টিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার ভল্ট থেকে ৫ লাখ টাকা চুরি এবং বাগেরহাটের রামপালে তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে আনসার সদস্যদের আহত করে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনাও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ঈদের আগেই এমন ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তর সবাইকে সর্তক থাকতে বলছে। এ ব্যাপারে গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেশের সকল থানায় জরুরী বার্তা পাঠায়। চুরি-ডাকাতি রোধে মাঠ পর্যায়ে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক(গণমাধ্যম) ইনামুল হক সাগর বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে চুরি-ডাকাতি রোধে সবসময় বিশেষ সতর্কতা জারি থাকে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং বিপনী-বিতানগুলোতে টহল পুলিশ থাকে। তবে সম্প্রতি বান্দরবানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বান্দরবানের ঘটনাটি ছাড়া সারাদেশে বেশ কয়েকটি স্থানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পাশপাশি ঘটছে প্রাণহানিও। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় ডাকাতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে না পারে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।