প্রতিবছর ঈদ যাত্রায় নানা ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও এবার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে স্বস্তির ছাপ। ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারায় ট্রেন যাত্রীরা ছিলেন উচ্ছ¡সিত। তবে দুই একটি ট্রেন কয়েক মিনিট বিলম্ব হলেও সেটাও মানিয়ে নিচ্ছেন যাত্রীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এমন চিত্র দেখা যায়।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, এবারের ঈদ যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আন্তঃনগর ৪২ ও লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়।
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে গত ২৫ মার্চ যেসব যাত্রী অগ্রিম টিকিট পেয়েছেন তারাই গতকাল কমলাপুর থেকে যান দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে।
প্রবেশের জন্য আলাদা গেট ঃ কমলাপুর রেলস্টেশন প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তারা। সেখানেই ঈদ যাত্রার জন্য স্টেশনে আসা যাত্রীর টিকিট চেক করে ভেতরে দিকে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তবে টিকিট ছাড়া ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারছেন না। এদিকে ভেতরে প্রবেশ করেও টিকিট স্ক্যান করে যাত্রা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অপেক্ষা করেছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেশনে পৌঁছেছে সব ট্রেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় এখনো ট্রেন নিয়ে অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী শামীম হোসেন বলেন, ট্রেনের টিকিট আমার ছেলে অনলাইনে কেটে দিয়েছে। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ঈদে বাড়ি যাচ্ছি ঝামেলা ছাড়াই। ট্রেন ৫/১০ মিনিট লেট করে ছাড়লেও এটা বিষয় না। বাসেও এমন ১০ মিনিট লেট হয়।
উল্লেখ্য, ঈদ উপলক্ষে ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে গত ২৫ মার্চ ও ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হয়েছে ২৬ মার্চ। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ ও ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়া চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।